ভারতীয় বোলিং আক্রমণের নেতা হিসেবে বেশি দিন জাহির খানকে দেখছেন না কপিল দেব। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মনে করেন, জাহিরের বয়সি কোনও পেসার চোট পেলে তার প্রত্যাবর্তন ঘটাতে গেলে অসাধারণ কিছু দরকার হয়। জাহিরের আর এক মাস পর ৩৩ বছর পূর্ণ হবে। “এ রকম বয়সে কোনও পেসার লাগাতার চোট পেতে থাকলে তার সেরে ওঠা খুব কঠিন হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যাবর্তন করতে গেলে তাকে অসাধারণ কিছু করতে হবে। না হলে কয়েকটা ম্যাচ খেলে আবার চোট পেয়ে যাবে,” এ দিন জাহির প্রসঙ্গে বলেছেন কপিল। ভারতের হয়ে ৭৯ টেস্ট খেলে ২৭৩ উইকেট নেওয়া জাহির হালফিল কোনও টেস্ট সিরিজই চোটমুক্ত ভাবে খেলতে পারেননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও লর্ডসে প্রথম টেস্টেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান তিনি।চোট পেয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরও। কপিল অবশ্য মনে করছেন, ৩৮ বছর বয়সি সচিনের ব্যাপারটা একটু আলাদা। “ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্য রকম। সচিন প্রত্যাবর্তন করতেই পারে। এমনিতেই তো সচিন সব কিছু পেয়ে গিয়েছে,” বলে কপিল যোগ করেছেন, “সচিনকে আগে ঠিক করে নিতে হবে ও কী চায়। নিজের শরীর সচিন খুব ভাল ভাবে জানে। একমাত্র ও-ই বলতে পারবে ও কতটা সুস্থ। আমাদের মতো লোকেরা বাইরে বসে এই নিয়ে কী বলব?” চোটের তালিকায় থাকা গৌতম গম্ভীরকে নিয়েও চিন্তিত কপিল। “গম্ভীর অসাধারণ ব্যাটসম্যান। কিন্তু এ রকম একটা চোট ওর কেরিয়া র বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। ওর হাত-পায়ের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে,” আশঙ্কা কপিলের। |
ইংল্যান্ডে ধোনিদের বিপর্যয়ের দায় অনেকটাই পড়েছে কোচ ডানকান ফ্লেচারের উপর। কপিল যদিও প্রশ্ন করছেন, “গ্যারি কার্স্টেন যদি সত্যিই এত ভাল কোচ হত তা হলে ও চলে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই দল এ রকম দুর্দশায় পড়ত না। তা হলে কী শেখাল কার্স্টেন? যদি ভারতের সাফল্যের পিছনে কার্স্টেনের ভূমিকা না থাকে তা হলে দলের বিপর্যয়ের জন্য ফ্লেচারকেও দোষ দেওয়া যাবে না।” ভারতীয় পেসারদের অনুশীলন পদ্ধতির কড়া সমালোচনা করেছেন কপিল। বলেছেন, “গত পনেরো বছরে আমরা অনেক পেসার তৈরি করেছি। কিন্তু তারা সবাই চোট পেয়ে গিয়েছে। মানছি এখন প্রচুর ক্রিকেট খেলতে হয়। কিন্তু এখনকার পেসাররা মাঠের চেয়ে জিমে বেশি সময় কাটাচ্ছে। বেশি দৌড়চ্ছে না, নিজেদের পায়ের শক্তি বাড়ানোর দিকে খেয়াল রাখছে না।” কপিল আরও অভিযোগ করছেন, “এখন দেখছি নেটে বেশি বল না করার একটা নিয়ম চালু হয়েছে। এ ভাবে হয় নাকি? যত বেশি বল করবে, তত বেশি শিখবে।” এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ও বাতলে দিচ্ছেন কপিল। বলছেন, “যখন পেসাররা বলের গতি হারাতে শুরু করবে, নিজেদের সেরাটা দেবে না, তখন ড্রেসিংরুমকেও কঠোর হতে হবে। মোট কথা, লম্বা সময়ের কথা ভেবে পরিকল্পনা করতে হবে।” |