গঙ্গার দূষণ রোধে পরিবেশসম্মত ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের খরচ দিতে হবে পুজো কমিটিকে। পুজোর বাজেটের আনুপাতিক হারে তাদের থেকে খরচ নিতে হবে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। এ বছর তা কার্যকর করা না-গেলে আগামী বছর থেকে করতেই হবে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা জনস্বার্থ মামলায় দুই বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ ও সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে গঙ্গা-দূষণ নিয়ে শুনানিতে কলকাতা বন্দরের তরফে আইনজীবী জয়দীপ কর জানান, গঙ্গা থেকে প্রতিমার কাঠামো তোলা ও বিসর্জন ব্যবস্থাপনায় বিপুল খরচ হয়। ‘দূষণমূল্য’ আদায়ের বিধি মেনে পুজো কমিটির থেকে তা নেওয়া উচিত। বিচারপতিদের মন্তব্য, বাণিজ্যিক সংস্থার সাহায্যপ্রাপ্ত পুজোয় প্রচুর খরচ হয়। তাই পুরসভা ও পুলিশ পুজোর অনুমতি দেওয়ার সময়েই বিসর্জন ব্যবস্থাপনার খরচ আদায় করুক। আদালত পুরসভা, বন্দর ও কলকাতা পুলিশকে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বিসর্জনের দূষণ কমানো নিয়ে বৈঠক করতে বলেছে। |
বিসর্জন ব্যবস্থাপনার ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “পুজো কমিটি কতটা খরচ দেবে জানি না। তবে, তারা টাকা দিলে সচেতনতা তৈরি হবে।” নদী থেকে কাঠামো তোলা বা বর্জ্য আলাদা করে ধাপায় পাঠাতে প্রচুর ব্যয় করে পুরসভা ও বন্দর। এ বছর প্রতিমা পাড়েই হোসপাইপ দিয়ে গঙ্গার জলে গলিয়ে দেওয়া হবে।
এ দিনই ডিভিশন বেঞ্চ বলে, বাইপাসে জলাভূমি ভরাটের ফলে বর্ষার বাড়তি জল বেরোচ্ছে না। জল জমা রোধে পুরসভার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জানতে চায় কোর্ট। এ দিন ছবি দেখিয়ে পূর্ব কলকাতায় নিকাশি খাল ও নালার বেহাল দশা বর্ণনা করেন সুভাষবাবু। এ বিষয়ে সেচ ও মৎস্য দফতর, কেএমডব্লিউএসএ কী করছে, আদালতকে জানাতে বলে বেঞ্চ। ওই এলাকায় অবৈধ নির্মাণ নিয়ে পুরসভার থেকে তথ্য চাওয়া হয়। |