|
|
|
|
উইকি-বার্তা |
আইএসআই-মেমন যোগ আগেই জানত আমেরিকা |
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যে ভারতে হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছে, সে কথা অনেক আগে থেকেই জানত মার্কিন প্রশাসন। উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া কেব্লে মার্কিন আধিকারিকদের কথাবার্তা থেকে পরিষ্কার, ১৯৯৬ সালের লাজপতনগর বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে আইএসআইয়ের সঙ্গে মুম্বই বিস্ফোরণের চক্রী টাইগার মেমনের যোগাযোগ, কোনও কিছুই তাদের অজানা ছিল না। আইএসআইয়ের তৈরি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যে নেপাল থেকেও কাজ করছে, তা-ও জানত আমেরিকা।
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া কেব্লটি ৮ জুলাই, ১৯৯৭-এর। সেখানে ভারতে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক ওয়াইজনার নিজে বলছেন, ভারতে হামলা চালানোর লোকজন এবং উপকরণ পাঠানোর জন্য কাঠমান্ডুকে একটা বড় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে আইএসআই। আইএসআই-এর তৈরি জঙ্গি সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্ট (জেকেআইএফ)-এর মূল ঘাঁটিই হল কাঠমান্ডু। ওয়াইজনারের কথায়, “কাঠমান্ডুতে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাচ্ছে জেকেআইএফ। সংগঠনের মাথা জাভেদ ক্রাওয়া নিজেই কাঠমান্ডুতে কার্পেটের ব্যবসায় চালায়। জেকেআইএফকে নিয়ন্ত্রণ করে আইএসআই এবং টাইগার মেমন।”
১৯৯৬ সালের ২১ মে দিল্লির লাজপতনগর বিস্ফোরণে ১৩ জন মারা যান। উইকি-বার্তা বলছে, এই বিস্ফোরণের আরডিএক্স এসেছিল কাঠমান্ডু থেকে। পরের দিন, ২২ মে রাজস্থানের বাসে আবার একটি বিস্ফোরণ হয়, তার পিছনেও জেকেআইএফ। আব্দুল গনি ওরফে আসাদুল্লার নেতৃত্বে আর একটি দলকে তারা পাঠিয়েছিল আমদাবাদে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। ১৯৯৭-এর প্রজাতন্ত্র দিবসেও রাজধানীতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। এ সবের পিছনে মূল মাথা অবশ্যই আইএসআই এবং টাইগার মেমন ছিল বলে উইকি-বার্তার দাবি।
বার্তায় আরও বলা আছে, কাঠমান্ডু থেকে জেকেআইএফ সরাসরি যোগাযোগ রাখত পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বিলাল বেগ-এর সঙ্গে। বিলাল মুজফ্ফরাবাদে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির
চালাত। আইএসআই-এর কর্নেল ফারুক নিজে বিলাল
এবং টাইগার মেমনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তারা যেন কাঠমান্ডুর সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। কাঠমান্ডুর লতিফ এবং জাভেদ ক্রাওয়াকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে বিস্ফোরণ করানোর নির্দেশ ছিল বিলাল-টাইগারের উপরে।
ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাক মদত, বিশেষত আইএসআইয়ের ভূমিকা নিয়ে চাপানউতোর ভারত-পাক-মার্কিন সম্পর্কে অন্যতম কাঁটা হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিনই। ভারতের দাবি, পাকিস্তানকে বলা সত্ত্বেও তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না। আমেরিকাকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তারা পাকিস্তানের প্রতি যথেষ্ট কড়া হয় না। ২৬/১১-র পরেও অবস্থার প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি বলেই মনে করে ভারত। উইকি-বার্তা এখন যা বলছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, নয়ের দশক থেকেই আইএসআইয়ের গতিবিধি সম্পর্কে বহু তথ্যই মার্কিন প্রশাসনের কাছে ছিল। |
|
|
|
|
|