সল্টলেকে আইন-শৃঙ্খলার ক্রমবর্ধমান অবনতির মোকাবিলায় পথে নামল বিধাননগর পুরসভাও। এলাকার নজরদারিতে পুলিশকে সাহায্য করতে অবিলম্বে স্থানীয় যুবকদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগানো হবে বলে বুধবার জানান পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
পুজোর মুখে পরপর ছিনতাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সল্টলেকে। তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ৫০ জন যুবককে কাজে লাগানো হবে। তাঁদের বিধাননগর পুরসভার নিজস্ব ‘লোগো’ দেওয়া হবে। এ দিন কৃষ্ণাদেবী বলেন, “নিরাপত্তার খাতিরে সল্টলেকে পাড়া-সংস্কৃতি তৈরি করা জরুরি। তাই ব্লকের যুবকদের পুলিশি নজরদারিতে সহযোগিতার কাজে নামানো হবে।” সোমবার বিডি ব্লকে এবং মঙ্গলবার জিডি ব্লকে ছিনতাইয়ের পরে এ দিন সকালেও ডি এল ব্লকে শ্রীময়ী ঘোষ নামে এক প্রাতর্ভ্রমণকারীর হার ছিনতাই করে পালায় দুই দুষ্কৃতী। আঘাত পান তিনি।
পুর-উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশকে সহযোগিতা করতেই এই পরিকল্পনা। অপরাধীদের ধরতে সব চেষ্টাই করা হচ্ছে।” তবে স্বেচ্ছাসেবক নামিয়ে সব সমস্যার সমাধান হবে না বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। আবাসিক সংগঠন ‘বিধাননগর (সল্টলেক) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ। তবে শুধু নাগরিক-পুলিশ তৈরি করলেই চলবে না। প্রশাসনকে সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। আর পুলিশ সক্রিয় হলেই সেটা সম্ভব।”
অন্য দিকে, নিরাপত্তার খাতিরে সেক্টর ফাইভের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মীদের নিজস্ব গাড়ি ও ভাড়া গাড়িতে জিপিআরএস পদ্ধতিতে নজরদারি চালু করবে পুলিশ। নবদিগন্তের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ৫০ জন কনস্টেবলের সঙ্গে নিয়োগ করা হবে ৫০ জন গ্রিন পুলিশ। গ্রিন পুলিশদের পোশাকে ‘নবদিগন্ত’ লেখা থাকবে।” এ বিষয়ে রাজ্যের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।
পাশাপাশি, পুলিশ প্রশাসনের দাবিমতো ট্রমাকেয়ার ইউনিট ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবে নবদিগন্ত। নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে পুলিশ-প্রশাসন কী পরিকল্পনা নিচ্ছে, তা জেনে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে একটি চুক্তিও করবে তারা। এ বিষয়ে সেক্টর ফাইভের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি ন্যাসকমের করা সমীক্ষা-রিপোর্ট চেয়েছে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তি কর্তাদের নিয়ে যৌথ সমীক্ষা করে ট্রাফিক নিয়ে পরিকল্পনা করা হবে বলে মহাকরণ সূত্রে খবর। |