ইতিমধ্যেই কলকাতার ‘সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট’, অর্থাৎ বি বা দী বাগ-ধর্মতলা এলাকাকে হোর্ডিংমুক্ত করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তিনি উদ্যোগী হলেন বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ঢোকার মূল রাস্তাকে সাজিয়ে তুলতে, যাতে নানা কাজে শহরে আসা মানুষের চোখে এই শহরের পরিচ্ছন্ন ছবি তুলে ধরা যায়। |
মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে শহরে ঢুকতেই এ বার চোখে পড়বে সবুজের সমারোহ। দৃশ্যদূষণকারী হোর্ডিং সরিয়ে লাগানো হবে সারি সারি গাছ। অপরিচ্ছন্নতা হটিয়ে বিমানবন্দর থেকে পার্ক সার্কাস চার নম্বর সেতু পর্যন্ত আসার দু’টি রাস্তা (ভিআইপি রোড ও রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে) গাছগাছালি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। বুধবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীদের এই নির্দেশ দেন।
বিমানবন্দর থেকে কলকাতা ঢোকার মূল রাস্তা ভিআইপি রোডের চেহারা আদৌ দৃষ্টিনন্দন নয়। রাস্তার দু’ধারে কোথাও উপচে পড়ছে জঞ্জাল। কোথাও বা নিয়মকানুনের কোনও তোয়াক্কা না-করে রাস্তার ধারে লাগানো রয়েছে বিশাল হোর্ডিং। কোথাও রংহীন বিবর্ণ ডিভাইডার। বিমানবন্দর থেকে কেষ্টপুর পর্যন্ত রাস্তায় কার্যত সবুজ নেই বললেই চলে। গোটা রাস্তা জুড়েই ট্রাফিক আইনকে শিকেয় তুলে চলছে অটোরিকশা, বাস ও ট্যাক্সি।
বিমানবন্দর হয়ে কলকাতার প্রবেশমুখের এই চিত্র ভাবিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এ দিন মহাকরণের বৈঠকে তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন, ওই রাস্তাটিকে সাজিয়ে তুলতে হবে। |
ঠিক হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত রাস্তার যাবতীয় হোর্ডিং খুলে ফেলা হবে। রাস্তার দু’পাশে লাগানো হবে গাছপালা। ডিভাইডারের মধ্যে লাগানো হবে ফুলগাছ। ডিভাইডার সাজানো হবে উজ্জ্বল রঙে। রাস্তায় বসানো হবে জোরালো আলো। পরিকল্পনার একটি নকশাও তৈরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ত দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এর মধ্যেই ওই রাস্তা পরিদর্শন করেছেন। যানজট কাটাতে কেষ্টপুর থেকে বাগুইআটি জোড়ামন্দির পর্যন্ত তৈরি করা হচ্ছে একটি উড়ালপথ। এই কাজে খরচ হচ্ছে ২১৬ কোটি টাকা। পূর্ত দফতরের সচিব বলেন, “রাস্তাটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওখানে কোনও ঝুপড়ি নেই। তাই এই কাজ করতে কোনও অসুবিধা হবে না।” |