একটি ট্রাক্টর থেকে ধানের বস্তা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। আহত হয়েছেন ৯ জন। মঙ্গলবার হুগলির বলাগড় থানার জামতলায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম আঙুলবালা বিশ্বাস (৭০)। বাড়ি স্থানীয় আয়দা গ্রামের পটল কলোনিতে। এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আচমকা একটি ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। আঙুলবালাদেবীর উপরে বেশ কয়েকটি ধানের বস্তা পড়ে যায়। ট্রাক্টরটিতে থাকা ৯ জন যুবকও রাস্তায় ছিটকে পড়ে। আঙুলবালাদেবীকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার ভোরে সেখানেও তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রাক্টরটিকে আটক করেছে পুলিশ।
|
সভাপতি রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় নিজেই। সহ-সভাপতি দু’জন শঙ্খশুভ্র ঘোষ ও নীহার আদিত্য। বুধবার রবিরঞ্জনবাবু বর্ধমান শহর তৃণমূলের যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন, তাতে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে কৌশিক দাশগুপ্ত এবং খন্দেকার ফজলুর রহমান ওরফে সবুজ মাস্টারকে। রাখা হয়েছে পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীও। নীহারবাবু ছাড়াও গোদার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসভার কাউন্সিলর খোন্দকার শহিদুল্লাহ ওরফে ফকু মাস্টার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোকন দাস, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না রায় ও শহরের নেতা সুশান্ত ঘোষ তার সদস্য। প্রত্যেকের দায়িত্বে থাকবে সাতটি ওয়ার্ড। সভাপতির কাজে সহযোগিতা করবেন এঁরা। তবে নিজেরা দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। শহর তৃণমূলের যুব সভাপতি থাকছেন খোকনবাবুই।
|
সংগঠনের শতাধিক সদস্যকে নিয়ে বুধবার ডব্লিউবিটিএ-তে যোগ দিলেন জেলা থেকে নির্বাচিত মধ্যশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সঙ্ঘের নেতা তপনকুমার চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, ‘‘নির্বাচিত হয়েও সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র চাপে কখনও স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারিনি। তাই বিটিএ-তে যোগ দিলাম।” বিটিএ-র নেতা রথীন মল্লিক বলেন, “আমরা ওঁকে বলেছি, আপনি স্বাধীন ভাবে সমস্ত কাজ করুন। আমরা পাশে আছি।”
|
পুলিশকে ঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা আসামির |
আদালত চত্বরে কনস্টেবলকে ঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করল এক আসামি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আসামির নাম বাপি পণ্ডিত। সম্প্রতি বীরভূমের সিউড়িতে একটি এটিএমে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত এই যুবক। এছাড়াও বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে বেশ কিছু চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালের ১৭ অগস্ট কালনায় এখটি পেট্রোল পাম্পে একটি ডাকাতি হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও অভিযুক্ত বছর তিরিশের বাপি। এ দিন ওই মামলায় হাজিরার দিন ছিল। তাই বীরভূম থেকে বাপিকে কালনা আদালতে আনা হয়। আদালতের কাছে হাজতে রাখা হয় তাকে। সেখানে শৌচাগারে যেতে চায় বাপি। কোমরে দড়ি বেঁধে দু’জন কনস্টেবল এসিজেএম আদালত লাগোয়া শৌচাগারে নিয়ে যায় তাকে। তখনই পতিতপাবণ মণ্ডল নামে এক কনস্টেবলকে ঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করে সে। তবে পতিতপাবণবাবু তার কোমরের দড়িটি ধরে ফেলেন। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন কয়েক জন। পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয় বাপির। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বাপিকে আদালতে তোলা হয়। তার পরে কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে বীরভূমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
|