নিজের বাড়িতেই খুন হলেন এক বধূ। বুধবার বিকেলে আসানসোল উত্তর থানার ধাদকা এলাকার ঘটনা। তবে কেন এই খুন, রাত পর্যন্ত পুলিশ তা জানাতে পারেনি। পুলিশের দাবি, মৃতার স্বামীর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পারিবারিক কারণেই এমন ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম লক্ষ্মী দেবী (৩৫)। তাঁর স্বামী বিনোদকুমার জুরমানির আসানসোল বাজারে একটি ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, এ দিন বিকেলে তিনি দোকানে ছিলেন। সাড়ে ৫টা নাগাদ খবর পান, তাঁর বাড়িতে গণ্ডগোল হচ্ছে। এ কথা শুনে দোকানের এক কর্মচারীকে তিনি বাড়িতে পাঠান। বিনোদবাবু জানান, সেই কর্মচারীই তাঁকে ফোনে খবর দেন, তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁর ঘাড়ে ও মুখে অস্ত্র দিয়ে কোপের চিহ্ন রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র তিনি বাড়ি যান। প্রতিবেশীদের সহায়তায় স্ত্রীকে কন্যাপুরের কাছে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যান তিনি। সেখানে চিকৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, বিনোদবাবুর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন বিকেলে তাঁর মেজো ভগ্নীপতি ক্ষেমকিশোর জুরমানি বাড়িতে এসেছিলেন বলে পড়শিরা তাঁকে জানিয়েছেন। বিনোদবাবু বলেন, “প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গণ্ডগোলের আওয়াজ শুনে খোঁজ নিতে গেলে ভগ্নীপতিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা।” পুলিশকে তিনি আরও জানান, তাঁর ওই ভগ্নীপতি উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে থাকেন। দিন কয়েক আগে বিনোদবাবুর বাড়িতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর দোকানের এক কর্মচারীই ভগ্নীপতিকে আসানসোল স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে দাবি বিনোদবাবুর। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে। |