রাস্তা তৈরিতে লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমার্ণ সহায়কের বিরুদ্ধে মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পুরাতন মালদহের বিডিও। সোমবার মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেফতারের ভয়ে অভিযুক্ত নির্মাণ সহায়ক অসীম রায় গা ঢাকা দিয়েছেন। পুরাতন মালদহের বিডিও মহম্মদ নকি বলেন, “যে পরিমাণ ল্যাটেরাইট ও মোড়াম দিয়ে রাস্তা তৈরি করার কথা ছিল মহিষবাথানির নির্মাণ সহায়ক অসীম রায় তা দেননি। সঠিক পরিমাণ ল্যাটেরাইট ও মোড়াম না-দিয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর শোকজ করলে ওই নিমার্ণ সহায়ক জানিয়েছেন বৃষ্টির জলে ল্যাটেরাইট ধুয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির জলে ল্যাটেরাইট ধুয়ে যাওয়ার যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ সুপার ভুবন মন্ডল বলেন, “অভিযুক্ত নিমার্ণ সহায়ককে ধরতে তল্লাশি চালছে। গ্রেফতার এড়াতে ওই নিমার্ণ সহায়ক পালিয়ে গিয়েছেন।” জেলা পুলশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আইহোরানি গ্রামে ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে জুন মাসে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে এক কিলোমিটার ল্যাটেরাইট ও মোরামের তৈরি হয়। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পরেই ওই এলাকার ২২ জন গ্রামবাসী রাস্তার তৈরির অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুরাতন মালদহের বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান। এর পরেই বিডিও ব্লকের এক ইঞ্জিনিয়রকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী ইঞ্জিনিয়র রিপোর্টে জানান, যে ল্যাটেরাইট ও মোরাম দিয়ে রাস্তা তৈরি করার কথা ছিল তা ব্যবহার করা হয়নি। বিডিও মহিষবাথানির নির্মাণ সহায়ককে শোকজ করেন। উত্তর পাওয়ার পরে বিডিও নিজেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান। বৃষ্টির জলে ল্যাটেরাইট ও মোরাম ধুয়ে যাওয়ার যুক্তি যে স্রেফ গল্প তা এলাকায় গিয়ে পরখ করেন। মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান মনিরুজ্জামান বলেন, “ওই রাস্তা নিয়ে যা বলার বিডিও-ই বলবেন। |