এলাকার দখল নিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তপ্ত এনজেপি স্টেশন লাগোয়া এলাকা। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যোগ দিতে তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী হুমকি দিচ্ছে বলে ইনটাকের অভিযোগ। কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর দুই দফায় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে ইনটাকের বিরুদ্ধেও। মঙ্গলবার তা নিয়ে দুই পক্ষের গোলমালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। দুই পক্ষই লাঠি, রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে উপর হামলা চালায় বলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়েছে। পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়দীপবাবুর বিরুদ্ধে ইনটাকের তরফে এনজেপি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একজন ডিএসপি, সিআই এনজেপিতেই আছেন। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।” সংগঠনের ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের উপর হামলার অভিযোগে এ দিন থেকে কর্মবিরতির ডাকে ইনটাক। ইনটাকের দার্জিলিং জেলা সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর অভিযোগ, “এনজেপি’র শ্রমিক, চালক, হকারে আমাদের সংগঠনে যোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি ৫৫১ মালপত্র ওঠানামানোর কাজে যুক্ত শ্রমিক আমাদের সঙ্গে এসেছেন। চালকেরাও আসছেন। স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সংগঠন ছাড়ার জন্য হুমকি, মারধর করা হচ্ছে।” তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী বলেন, “এলাকায় দাদাগিরি করছে ইনটাকের নেতারা। বামপন্থী নেতাদের মদতে ইনটাক ওই কাজ করছে। আমরা সংযত করার চেষ্টা করছি। উল্টে আমার আর দাদার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কর্মীদের মারধর, দফতর ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ নেই।” ইনটাকের অভিযোগ, সোমবার বাড়ি ফেরার সময় ৩ সদস্যের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি-র সদস্য-সমর্থকেরা। ইনটাক সদস্যদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করতেই লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। |