পুজোর আগেই শহরে রাস্তার হাল ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা। কিন্তু এখনও রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু না-হওয়ায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ী, বাসিন্দারা। পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। সে কারণে বাসিন্দাদের যাতায়াতও বেড়েছে। অথচ চম্পাসারি মেন রোড থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন রোড, টিকিয়াপাড়ার রাস্তা, দেশবন্ধু পাড়ার মেন রোড, নিউ সিনেমা মেন রোড-সহ শহর জুড়েই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পুরসভার সামনের রাস্তাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় যত্রতত্র গর্ত। বিভিন্ন ওয়ার্ডে গলি রাস্তাগুলি নষ্ট হয়ে পড়েছে। পুজোর আগে রাস্তা সংস্কার না হলে বাসিন্দাদের নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিরোধীরাও। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, পুজোর আগেই শহরের বিভিন্ন ভাঙা রাস্তাগুলি যাতে মেরামত করা হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “পুজোর আগেই শহরের ভাঙা রাস্তাঘাট সংস্কার করা না হলে বাসিন্দারা বিপাকে পড়বেন। পুজোর কেনাকাটা করতে এখন বাসিন্দারা বার হচ্ছেন। রাস্তাঘাটের জন্য তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।” |
পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। শীঘ্রই ওয়ার্ক অর্ডার করে কাজ শুরু করা হবে। পুজোর আগেই প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করা হবে শহরের রাস্তাগুলির হাল ফেরানো হবে। রাস্তার খারাপ পরিস্থিতির জন্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে নানা কথা শুনতে হচ্ছে কাউন্সিলরদেরও। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত জানান, প্রধাননগরের অধিকাংশ রাস্তার পরিস্থিতিই খারাপ। মেঘনাদ সাহা সরণি, পূর্বাচল এলাকার রাস্তা, নিবেদিতা রোডের অবস্থা বেহাল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিবেদিতা রোডের অংশ এতটাই খারাপ যে চলাফেরা করাই দায় হয়ে পড়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের রাস্তা, অভেদানন্দ রোড সংস্কার করা প্রয়োজন। চম্পাসারি মেন রোডও কিছু জায়গায় নষ্ট। মহাবীরস্থান উড়ালপুল লাগোয়া টিকিয়া পাড়ার রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। শহরের ওই রাস্তা দিয়ে বাসিন্দাদের যাতায়াত বেশি। সিটিঅটো থেকে ছোটগাড়ি, বাইক উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াতে ওই রাস্তাই ভরসা। শহরের দক্ষিণ অংশ থেকে রেল লাইন পেরিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই বাসিন্দারা বেশি যাতায়াত করেন। রাস্তার পরিস্থিতির জন্য দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। উড়ালপুল লাগোয়া হাসমিচকের রাস্তার হাল দীর্ঘদিন খারাপ থাকায় যাতায়াতকারীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাজারামমোহন রায় রোড, সুভাষপল্লির রাস্তা, চিলড্রেনপার্ক থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা, হরেণ মুখোপাধ্যায় রোড, রবীন্দ্রনগর মেন রোডের বিবিন্ন জায়গা নষ্ট হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দেশবন্ধুপাড়া দিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে যাতায়াতের রাস্তাও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। দেশবন্ধুপাড়া মেন রোডও দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। ভারতনগর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন রোডের সংযোগ রাস্তার পরিস্থিতিও খারাপ। |