রাজ্যে পালাবদলের পরে-পরেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। এ বার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হেফাজত থেকেও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হল।
মঙ্গলবার শাসনের খামার-নবাঁধ এলাকা থেকে তিনটি রাইফেল-সহ তিন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সফিকুল ইসলামকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরার সূত্র ধরেই পুলিশ অস্ত্রগুলির সন্ধান পায়। মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে মহম্মদ রিয়াজুল, বাকিবুর ইসলাম এবং মসিয়ার রহমান নামে সফিকুল-ঘনিষ্ঠ তিন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। |
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের শাবড়া অঞ্চলে আবার সোমবার রাত থেকে সংঘর্ষ বেধেছে কংগ্রেস-তৃণমূলে। সেখানে এক তৃণমূল কর্মীর জমির উপর দিয়ে রাস্তা রয়েছে। ওই তৃণমূল কর্মী সেই রাস্তা বন্ধ করে দিতে চাওয়ায় গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন গ্রামের কংগ্রেস কর্মীরা। আর ওই বিক্ষোভ-জমায়েতেই বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন দু’দলের সমর্থকেরা। কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। অন্তত কুড়িটি বাড়ি ভাঙচুর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যেতে হয় পুলিশকে। ৬ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারের পাশাপাশিই শেখ বাবলু নামে এক পলাতক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি বোমা ও কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ ক্যাম্পও বসেছে। শাবড়ার ঘটনা নিয়ে শাসক জোটের দুই শরিকের জেলা নেতারা বাদানুবাদেও জড়িয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকায় ‘সন্ত্রাস’ চালিয়ে একাধিপত্য কায়েমের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। অন্য দিকে, সিপিএমের মদতে কংগ্রেস এলাকায় গোলমাল পাকাতে চাইছে বলে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। |