|
|
|
|
টুকরো খবর
|
সন্ত্রাস নিয়ে মমতাকে ফের চিঠি দিলেন সূর্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাস এবং জমি-বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা জানিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তিন মাসে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া বিরোধী দলনেতার চিঠির সংখ্যা ইতিমধ্যে এক ডজন ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারের দিক থেকে একটিই মাত্র জবাব এসেছে, যেখানে আরও নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে বলা ছিল। বিরোধী দলনেতা অবশ্য বলছেন, সরকারকে বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে ‘অবহিত’ করা বিরোধীদের কর্তব্য। তাই তিনি চিঠি পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সে সব নথিভুক্তও থাকছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে কয়েকটি জেলার ঘটনার কথা জানিয়েছেন সূর্যবাবু। যেমন, কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙা থানা এলাকার দাওয়াগুড়ি গ্রামে সফিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তিকে জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ওই এলাকায় সফিয়া বিবির সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটছে। প্রসঙ্গত, কোচবিহারের নাটাবাড়ির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তমসের আলির জমিজমা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েও এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বারের চিঠিতে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে কিছু গ্রামবাসীর উপরে হামলা এবং বর্ধমানের মঙ্গলকোটে দিলীপ কুমার দে নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় খুলে দেওয়ার ঘটনার কথা। সূর্যবাবুর বক্তব্য, “সন্ত্রাসের ঘটনা বন্ধও হয়নি, দূরবীক্ষণ দিয়েও দেখতে হচ্ছে না! সরকার তো দরজা-জানালা বন্ধ করে থাকতে পারে না। আমাদের কর্তব্য, তাদের অবহিত করা।” একই সঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সূর্যবাবুর মতে, ‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগানেরও কোনও অর্থ নেই। তাঁর দাবি, সিপিএম বা বামেরা তাদের বিরোধীদের উপরে এমন কোনও ‘হিংসা’ চালায়নি যে, এই রকম ‘প্রতিহিংসা’ চলবে। তাঁর অভিযোগ, সরকারের অন্য রকম দাবি করলেও ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র ঘটনা ঘটছেই।
|
কেন্দুপাতার দাম প্রায় দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জঙ্গলমহলের যে সব মানুষ কেন্দুপাতা সংগ্রহ করে দিন চালান, এ বার তাঁদের কাছ থেকে বর্ধিত মূল্যে এবং নগদে কেন্দুপাতা কেনার ব্যবস্থা করছে রাজ্য। ‘লার্জ সাইজ মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ বা ল্যাম্পস্-এর মাধ্যমে কেন্দুপাতা কেনার চালু পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন চায় নতুন সরকার। সেই লক্ষ্যেই পাতা কেনার সরকার নির্ধারিত মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে এ কথা জানান রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের সচিব সঞ্জয়কুমার থাড়ে। বলেন, “ভাল মানের একচাটা (দু’হাজার) পাতা-পিছু ৭৫ টাকা দেওয়া হবে। মাঝারি মানের একচাটা পাতা ৭০ টাকা দরে কেনা হবে।” জঙ্গলমহলে কেন্দুপাতার সংগ্রহ-মূল্য অত্যন্ত কম বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কেন্দুপাতা কেনার জন্য ‘আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগম’-এর অধীনে ২১টি ল্যাম্পস্ রয়েছে। বৈশাখ মাস জুড়ে কেন্দুপাতা সংগ্রহের কাজ চলে। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি ‘গড়িমসি’তে বেশির ভাগ এলাকায় দেরিতে পাতা কেনা শুরু করে ল্যাম্পস্। ফলে, মহাজন ও ফড়েরা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাতা কিনে নেয়। পাতা সংগ্রহে কঠোর পরিশ্রমের পরেও উপার্জন তেমন হয় না বনজ-সম্পদের উপরেই নির্ভরশীল আদিবাসীদের। এই ক্ষোভকে সামনে রেখেই দেড় দশক আগে আদিবাসীদের মধ্যে গণভিত্তি গড়ার কাজ শুরু করে মাওবাদীরা (তখনকার জনযুদ্ধ ও এমসিসি)। নতুন সরকার জঙ্গলমহলের মানুষের ‘বঞ্চনাজনিত ক্ষোভ’ কমাতে নানা প্রকল্প ঘোষণা করেছে। সেই সূত্রেই সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গেই ল্যাম্পস্ মারফত দাম মেটানোরও ব্যবস্থা হচ্ছে বলে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের সচিব জানিয়েছেন।
|
বিরূপ মন্তব্যে নারাজ বিমান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তিস্তার জল-বন্টন, ট্রানজিট-সহ যে সব ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হচ্ছে না, তা নিয়ে এখনই কোনও বিরূপ মন্তব্য করতে চায় না সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, “অতীতে কত বার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পরেও চুক্তি হয়নি। তাই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনার পরেও চুক্তি হল না, তা নিয়ে নিন্দা করা উচিত নয়। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে বিষয় গুলি নিয়ে আবার কথা হবে। সমস্যার সমাধানও হবে।” বিমানবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, তিস্তার জল-বন্টন, ট্রানজিট-সহ কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কি ‘সফল’ বলা যায়? জবাবে বিমানবাবু এ কথা বলেন।
বিমানবাবুর যুক্তি, “সব সময়েই দেখা যায়, আলোচ্যসূচিতে আছে ৭টি বা ৯টি বিষয়। কিন্তু চুক্তি হচ্ছে ৫টি বিষয়ে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মীমাংসা হয়। যে প্রশ্নের মীমাংসার পরে চুক্তি হল, তা ভাল। আর যে প্রসঙ্গে আলোচনার পরেও মীমাংসা হল না, তা ভবিষ্যতে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি হবে। এ ভাবেই দেখা হয়।” তবে, তিস্তার জল-বন্টন প্রসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আগেই আলোচনা হওয়া উচিত ছিল বলে বিমানবাবু মনে করেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হওয়া উচিত ছিল। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যকে জানানো উচিত ছিল। রাজ্যেরও আগাম জানা উচিত ছিল। কোন পক্ষের ত্রুটি হয়েছে, তা জানি না। তবে, শুখা মরশুম ও অন্য সময়ে তিস্তার জলের বন্টন কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল। কারণ, বিষয়টির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থও জড়িত।”
|
ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা অলীক কল্পনা: বিমান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের চিন্তাভাবনাকে ‘অলীক কল্পনা’ বলে অভিহিত করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। মঙ্গলবার সিটুর কলকাতা জেলা অফিসে রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী কৃষ্ণপদ ঘোষের ব্রোঞ্জের মূর্তি উন্মোচন করে বিমানবাবু এ কথা বলেন। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে হঠাৎ বন্ধ-অবরোধ বন্ধের ব্যাপারে যেমন তৎপর হয়েছেন, তেমনই ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার নিয়েও সরকারি স্তরে ভাবনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার কথাও বলেছেন। বৈঠকে সিপিএমের অভিমত কী হবে, তা বিমানবাবুর এ দিনের মন্তব্যেই স্পষ্ট। তাঁর কথায়, “ধর্মঘট বেআইনি করতে হবে মানে কী? মিষ্টি-মধুর কথার মাধ্যমে মালিকের পক্ষ নিচ্ছে সরকার। যাঁরা ধর্মঘটকে নিষিদ্ধ করতে চান, তাঁরা অলীক কল্পনা করছেন। ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণা করা যাবে না। অনেক শহিদের রক্তে ধর্মঘটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত। কোনও রাজ্য সরকার তা কেড়ে নিতে পারবে না।” বিমানবাবুর বক্তব্য, “শ্রমিকদের উপরে অত্যাচার হলেই ধর্মঘট হয়। কেউ খুশি হয়ে ধর্মঘট করে না!” তাঁর বক্তব্য, শ্রমিকদের ধর্মঘটের জন্য কত শ্রম-দিবস নষ্ট হয় আর মালিক পক্ষের লে-অফ, লক-আউটের জন্য কত শ্রম-দিবস নষ্ট হয়, তার বিচার করা হোক। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর অসংগঠিত শ্রমিকদের বড় অংশ সিটু ছেড়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে নাম লেখাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন ধরে রাখতে ‘কট্টরপন্থা’ই যে দলের নীতি, বিমানবাবুর কথায় তা স্পষ্ট। কৃষ্ণপদবাবু দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট আমলে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। ’৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পরেও তিনি শ্রমমন্ত্রী হন। সেই প্রসঙ্গ তুলে বিমানবাবু বলেন, “প্রথম যুক্তফ্রন্টের আমলেও কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিল। কিন্তু কৃষ্ণপদবাবু শ্রমমন্ত্রী হয়েই বলেন, ধর্মঘটের অধিকার বজায় থাকবে।”
|
ভোটার তালিকায় ফের সংশোধন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি যাঁদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাঁদের নাম তোলার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার সামগ্রিক সংশোধন শুরু হচ্ছে ১২ অক্টোবর। তা চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে বলে মঙ্গলবার জানান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত। তিনি জানান, কমিশন বৈধ সব ভোটারের নাম তালিকায় তুলতে চায়। সুনীলবাবু বলেন, “কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২০১১ সালের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখে সংশোধনের কাজ করবেন। সংশোধনের সময় মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হবে।” ভোটার তালিকায় যাঁরা নাম তুলতে চান, তাঁরা ওই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে পারেন।” |
|
|
|
|
|