টুকরো খবর

বাঁকুড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে আগুন
ছবি: অভিজিৎ সিংহ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে আগুনে পুড়ে গেল কিছু নথিপত্র। মঙ্গলবার সকালে সংসদের ‘বিদ্যা ভবন’-এর দু’তলায় হিসাব রক্ষকের ঘরে এই অগ্মিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “খেলার খরচের হিসেব যে ফাইলে রাখা ছিল, সেই ফাইলটি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা খুবই সন্দেহজনক।” বিদ্যা ভবনের রাত পাহারার দায়িত্বে থাকা আমিরউল্লা দালাল বলেন, “সকাল পৌনে ছ’টায় দেখি দোতলার ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সঙ্গে পোড়ার গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল। ওই ঘরে ঢুকে দেখি আলমারিতে রাখা কিছু ফাইল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটি ‘স্ট্যান্ড ফ্যান’ ছিল। তাও আগুনে অনেকটা পুড়ে গিয়েছিল।” এর পরেই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) যশোদানন্দ মিত্রকে ঘটনার কথা ফোনে জানান। যশোদানন্দবাবু বলেন, “খবর পেয়ে গিয়ে দেখি পাখা, ফাইল পুড়ে গিয়েছে। দমকল ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।” দমকল ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শট্-সার্কিট থেকে অগ্মিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রিঙ্কুদেবী বলেন, “আগুন লাগার ঘটনাটি খুবই সন্দেহজনক। আগুন লাগার কারন তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। জেলাশাসককেও বিষয়টি জানাব।”

তারবোঝাই লরি আটক
ঝাড়খণ্ড থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে পুরুলিয়ায় ঢুকে পড়া চোরাই তার বোঝাই একটি লরিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কের উপরে পুরুলিয়া মফস্সল থানা ও হুড়া থানা এলাকার সীমানায় একটি অপরিসর সেতুতে পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই লরিটি। লরির চালক সামশের আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বোকারো জেলার পিঁজড়াজোড় থানা এলাকার বাবুডি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, পিঁজড়াজোড় থানার পুলিশের কাছে খবর ছিল তার বোঝাই লরিটি পুরুলিয়া হয়ে কলকাতার দিকে যাবে। সেই মতো মফস্সল থানার পুলিশ অপরিসর সেতুটির উপরে লরিটিকে আটকানোর পরিকল্পনা করে। পুলিশের একটি জিপ ওই সেতুর রেলিং ঘেঁষে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। লরিটি ওই জিপকে ধাক্কা মেরে থমকে যায়। লরি থেকে কয়েক জন লাফ দিয়ে চম্পট দেয়। পিঁজড়াজোড় থানার ওসি অরুণ কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে চালককে গ্রেফতার করা হয়। ওই লরিটি থেকে প্রায় তিন টন অ্যালুমিনিয়ামের বিদ্যুৎবাহী তার উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, লরির বাকিরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়েছে। লরি আটক। চাল পাচার করার অভিযোগে সোমবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি লরি আটক করেন। বোরো থেকে হুড়া থানার লালপুরে যাচ্ছিল লরিটি। মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে নথিপত্র পরীক্ষা করার পরে মানবাজার থানায় আটক থাকা লরিটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পদত্যাগ ছাত্রনেতার
ফরওয়ার্ড ব্লকের ছাত্র সংগঠন সারা ভারত ছাত্র ব্লকের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদকের পদ ছাড়লেন প্রলয় চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি দল ছাড়ার ঘোষণাও করেছেন। প্রলয়ের দাবি, “আমার সঙ্গে সুইসা নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক-সহ সংগঠনের জেলা কমিটির আরও চার সদস্য পদত্যাগ করেছেন ও দল ছেড়েছেন।” ১৯৯৯ সাল থেকে ছাত্র ব্লকের সক্রিয় সদস্য প্রলয় মঙ্গলবার ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদককে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দলের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, একনায়কতন্ত্র ও ব্যক্তিতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। দলের প্রতিটি স্তরে জানিয়েছি। কিন্তু সুবিচার না পাওয়ায় দলের সক্রিয় সদস্যপদ ও সংগঠনে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিলাম’। ফব-র জেলা সভাপতি তথা দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিশিকান্ত মেহেতা বলেন, “আমি দলীয় কর্মসূচিতে আছি। ফিরে এ ব্যাপারে খোঁজ নেব।”

কালভার্ট ভাঙা, ব্যাহত যোগাযোগ
তিন দিন ধরে কালভার্ট ভাঙা রয়েছে সাঁওতালডিহি রাস্তায়। ফলে পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে সাঁওতালডিহির যোগাযোগ। পূর্ত দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কালভার্ট মেরামতির ব্যবস্থা করছি।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পাহাড়িগোড়া থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ওই কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বহু পুরনো প্রায় ২০ ফুট লম্বা কালভার্টটির মাঝের অংশ পুরো পুরি ভেঙে গিয়েছে। জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “দিনে ৪০টির বেশি বাস যাতায়াত করে ওই রাস্তায়। পুরুলিয়া থেকে সাঁওতালডিহি যাওয়ার জন্য মাটির বিকল্প রাস্তা আছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে ঘুরপথে ওই মাটির রাস্তা দিয়ে চালকেরা যেতে চাইছেন না।” অমলেন্দুবাবু বলেন, “ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ যে ঠিকাদার, তাতে কালভার্ট মেরামতির জন্য বলা হয়েছে।” মেরামতি দেরি হলে অস্থায়ী রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক বাঁকুড়ায়
৩ কোটি টাকা খরচ করে রাইপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতি করবে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে এ কথা ঘোষণা করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। একই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালের উন্নতির জন্য ৪৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে তিনি ঘোষণা করেন। এ দিন জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ে তিনি বৈঠক করেন।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “গত অর্থবর্ষে এই দফতরের প্রায় ৯০ শতাংশ টাকা খরচ হয়নি। তাই, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে উন্নয়নের কাজে আরও গতি আনতে বলা হয়েছে।” রাইপুরের মুরগি খালে একটি সেতু নির্মানের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

দুর্নীতির নালিশ
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলল তৃণমূলের বান্দোয়ান শাখা। দলের কোর কমিটির সদস্য অমলেন্দু মাহাতোর দাবি, “চিরুদি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান রানি সহিসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য-সহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছি। এর আগে ওই প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপিও দিয়েছি। প্রধান সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।” বান্দোয়ানের বিডিও দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “স্মারকলিপি দিতে এলে কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানালে তা পদ্ধতি মেনে করাই নিয়ম। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ চাইব।”

যুবকের দেহ উদ্ধার
কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর গ্রামের কাছে দ্বারকেশ্বর নদীর চর থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিরিশেকের ওই যুবকের শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। বাইরে থেকে আঘাতের কোনও চিহ্নও মেলেনি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাঁতুড়ির স্কুলে ঘেরাও শিক্ষকেরা
স্কুলের নথিপত্র আটক করে অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বিডিও। পরে, সেই নথি ও চাবি ফেরত পেয়ে ‘গোপনে’ অফিস ঘর খুলে নথিপত্র ত্রুটি মুক্ত করছিলেন প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক। এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের ভিতরেই তাঁদের দু’জন- সহ কয়েক জন শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখল তৃণমূল কর্মীরা। স্কুলের সামনে বাঁকুড়া-রাঘুনাথপুর রাস্তাও সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ করে রাখলেন। ঘটনাটি সাঁতুড়ি হাইস্কুলের। এই ঘটনায় স্কুলের পঠন পাঠনও বন্ধ থাকে। মিড-ডে-মিলে দুর্নীতি, তপশিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের ভাতা দেওয়া থেকে নানান অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় মাহাতোকে রাত পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীরা ঘেরাও করে রেখেছিলেন। সাঁতুড়ির বিডিও ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য গিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করে তা আটক করে অফিসের দরজায় তালা ধোলানোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিডিও জানান, নথিপত্র ও অফিসের চাবি সোমবার জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর কাছে পাঠানো হয়। তিনি তা গ্রহণ না করে স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা সিপিএমের সাঁতুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক মনবোধ মুর্মুর কাছে জমা দিতে বলেন। সেখান থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর অভিযোগ, চাবি পেয়ে আমাদের না জামিয়ে গোপনে মনবোধবাবু ও প্রধান শিক্ষক নথিপত্রের ভুল সংশোধন করছিলেন বলে খবর পাই। তাই তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক রাধারানি মুখোপাধ্যায় ও প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মনবোধবাবুর দাবি, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। চাবি ফিরিয়ে দেওয়ার সময় অফিসের তালা খোলা যাবে না তা বলেনি তো। পরিচালন সমিতি’র এ ব্যাপারে বৈঠক করার জন্যই অফিস খোলা হয়েছিল।” বিডিও অবশ্য বলেন, “স্কুল পরিদর্শক যা করার করবে।”

বজ্রপাতে মৃত্যু
বাজ পড়ে মারা গেল তিনটি গরু ও তিনটি ছাগল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুরের কাপড়িগোট গ্রামের কাছে, গামারবনি চাতালে। গরু-ছাগলগুলির মালিক বাসুদেব সরেন ও সামসুর খান বলেন, “প্রতিদিনের মতো এক রাখালের উপরে দায়িত্ব দিয়ে গরু-ছাগলগুলোকে চরতে পাঠিয়েছিলাম। এ দিন বৃষ্টি পড়ছিল। হঠাৎই বাজ পড়ে। ভাগ্যক্রমে রাখাল ছেলেটা বেঁচে গিয়েছে।”

অলচিকি শিক্ষকের দাবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী ১৮০০টি শিক্ষক পদে অলচিকি লিপি জানা যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করার দাবি তুলেছে আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাৎ মাঝি মাড়ওয়া জুয়ান গাঁওতা। মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরে মিছিল করে সংগঠনের সদস্যেরা জেলা স্কুল পরিদর্শককে (প্রাথমিক) দশ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন। সংগঠনের দাবি, সঠিক ভাবে প্রাথমিক স্তরে অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠনের জন্য ওই লিপি জানা অভিজ্ঞ পুরুষ ও মহিলাদের সিলেবাস কমিটিতে রাখতে হবে। সাঁওতালি ভাষা ও অলচিকি লিপির বিকাশের জন্য অন্য ভাষার মতো আর্থিক বাজেট পেশ করতে হবে এবং সাঁওতাল অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে আপার-প্রাইমারি স্কুল তৈরি করতে হবে। জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় আচার্য বলেন, “যে-সব দাবি আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব, তা আমরাই দেখব। বাকিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.