বৃষ্টির জল আর রোদের তাপে সেতুর কাঠের পাটাতনগুলির অবস্থা বেশ সঙ্গীন। কয়েকটি জায়গায় তা খুলে পড়ে গিয়ে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। তবু দিনে ও রাতে ওই সেতু দিয়েই প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের মুড়িগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতর মুড়িগঙ্গা খালের উপরে কোম্পানির চর ও মুড়িগঙ্গা গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী সেতুটির দীর্ঘদিন ধরেই এমন বিপজ্জনক অবস্থা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন একটু হইচই হলেও সেতুর সংস্কার নিয়ে প্রশাসনের কারও কোনও মাথাব্যথাই নেই। অথচ ওই দুই এলাকার মানুষের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু। |
প্রসাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিকের মানুষের পারাপারের জন্য বছর পনেরো আগে ৭৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া সেতুটি তৈরি করে দিয়েছিল জেলা পরিষদ। তার পরে আর সেতুটি সেভাবে সংস্কার হয়নি। ফলে বর্তমানে অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে সেতুটি। সেতুর দু’দিকে এক সময় কাঠের রেলিং ছিল। কিন্তু অনেক আগেই তা উধাও হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় খুলে গিয়েছে পাটাতনের কাঠ। সেই ফাঁকা জায়গা এখন মরণফাঁদ। রাতের অন্ধকারে সেতু পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সেতু হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে এটি সারানোর কোনও উদ্যোগই দেখা যায় না। দুর্ঘটনায় কেউ জখম হলেও টনক নড়ে না তাদের। অথচ এই সেতু দিয়ে মুড়িগঙ্গা-১ ও ২, ধসপাড়া-৩ পঞ্চায়েতের কালেক্টরগঞ্জ, ঈশ্বরীপুর, শীলপাড়া-সহ আট-দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পারাপার করেন।
কেন সেতুর সংস্কার করা হয়নি সে প্রসঙ্গে মুড়িগঙ্গা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌরহরি নাইয়া বলেন, ‘‘আমরাও জানি সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু সেতু সারাতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন তা আমাদের তহবিলে নেই। সমস্যাটি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে।” সাগরের বিধায়ক ও সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিম হাজরা বলেন, “ওই সেতু সংস্কারের জন্য সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। শীঘ্রই সেতুটি সারানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খুনের হুমকি। ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের হুমকি প্রোমোটারের এবং তার পরে পাল্টা ওই প্রোমোটারকে মারমুখী যুবকদের ঘিরে ধরা মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থূল বাধে শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার চত্বরে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। |