নদিয়ার তাহেরপুর নোটিফায়েডের চেয়ারম্যান তৃণমূলের নিরঞ্জন মিস্ত্রির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তাঁরই দলের ৫ কাউন্সিলর। সোমবার তাঁরা রানাঘাট মহকুমা শাসক সুমনকুমার ঘোষের কাছে লিখিত ভাবে সে কথা জানিয়েছেন। তবে সেই আবেদনে উমা দত্ত নামে এক কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নেই। মহকুমাশাসক সুমনবাবু বলেন, “ওই কাউন্সিলরেরা বিষয়টি জানিয়েছেন। সরকারি নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত পুরসভা নির্বাচনে এখানকার ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি জেতে তৃণমূল। ৬টি জেতে সিপিএম। একটিতে জিতেছিলেন নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানো নিরঞ্জনবাবু। পরে নিরঞ্জনবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। পুরবোর্ডও গঠন করে তৃণমূল। দল তাঁকে চেয়ারম্যান ও সুব্রত শীলকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে একশো দিনের কাজের লোক নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব গুরুতর আকার নেয়। তখনই ৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫ জনই নিরঞ্জনবাবুর বিরোধিতা করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন স্তরের নেতারা আলোচনাও করেন। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। শেষ পর্যন্ত সুব্রতবাবুর নেতৃত্বে দলের কাউন্সিলরেরা নিরঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন।
সুব্রতবাবু বলেন, “চেয়ারম্যান হয়ে দলের কোনও কথা নিরঞ্জনবাবু মানছিলেন না। এমনকী তৃণমূলের কাউন্সিলরদেরও মর্যাদা দিচ্ছিলেন না। আমাদের অন্ধকারে রেখে সব কাজ করছিলেন। বরং সিপিএমের একাংশের সঙ্গেই তাঁর বেশি যোগাযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে আর কাজ করা যাচ্ছিল না, আমরা তাই বাধ্য হয়েই অনাস্থা এনেছি।” নিরঞ্জনবাবুর কথায়, “আমি এই পদে এসে দু’জন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাঁদের বাঁচাতে সিপিএমের সঙ্গে আমাদের দলের একাংশ মাঠে নেমেছে।” তাঁর কথায়, “দল এমন কিছু নির্দেশ দিয়েছিল, যা এই পদে থেকে মানা সম্ভব হয়নি।”
সিপিএমের বাদকুল্লা লোকাল কমিটির সম্পাদক রবি ভট্টাচার্য বলেন, “এটা তৃণমূলের নিজস্ব ব্যাপার। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে আমাদের কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হলে, দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।” |