নারী-পাচার চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়ল এক মহিলা-সহ দু’জন। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর এলাকার রামেশ্বপুর থেকে আসগর আলি এবং হুগলির কামারপুকুর থেকে সন্ধ্যা রায় নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৬ অগস্ট চন্দ্রকোনার কঙ্কাবতী সংলগ্ন লোড়পুরের বাসিন্দা নিমাই রায়ের মেয়ে যমুনার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বাবুরাম সিংহের বিয়ে হয়। সম্বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন আসগর আলি। বিয়ের দিন সন্ধ্যা রায় পাত্রের পিসি বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। পাত্রের মা পরিচয় দিয়ে হাজির হয়েছিলেন রেবা সিংহ নামে আরও এক মহিলা। নিমাইবাবুর অভিযোগ, “বিয়ের পরদিনই মেয়েকে নিয়ে ওরা উত্তরপ্রদেশে চলে যায়। দু’-চার দিন পরে মেয়ে ফোন করে জানায়, সেখানে শ্বশুরবাড়ি বলে কিছু নেই। ছোট একটি ঘরে তাকে রাখা হয়েছে। আর রেবা সিংহ বাবুরামের মা নয়।” নিমাইবাবু মেয়ের ফোন পেয়েই আসগর আলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আসগর আলি সাফ বলে দেন, “আমি কিছু জানি না। যোগাযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। কিন্তু আমি ওদের চিনি না।” পরে অবশ্য চাপের মুখে আসগরকে স্বীকার করেন, নিমাইবাবুর মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ভুয়ো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরই চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নিমাইবাবু। তদন্তে নেমে আসগর ও সন্ধ্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অন্য অভিযুক্ত রেবা আদতে হুগলির ডোঙলের বাসিন্দা। তবে এখন উত্তরপ্রদেশেই থাকেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেবা এবং বাবুরামের খোঁজ শুরু করেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। নিমাইবাবুর মেয়ে যমুনাকে উদ্ধারের জন্যও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। |