প্রভাতকুমার কলেজের ছাত্র-সংসদ নির্বাচন বয়কট করল ডিএসও। সোমবার এই কলেজের ছাত্র-সংসদ নিবার্চনের মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ও ডিএসও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক ছাত্রী-সহ ৪ ডিএসও সমর্থক আহত হন বলে ডিএসও’র জেলা সম্পাদক মানস প্রধানের অভিযোগ। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। সোমবার ওই অবস্থাতেও ১৪টি মনোনয়নপত্র তুললেও তাঁরা ছাত্র-সংসদ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে মানস জানিয়েছেন। টিএমসিপি-র ‘গুন্ডামি’র প্রতিবাদে মঙ্গলবার ডিএসও’র পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিলও করা হয় কাঁথি শহরে। কাঁথি বড়-ডাকঘরের সামনে পথ অবরোধও করা হয়। ডিএসও সমর্থকদের উপরে সোমবারের হামলায় জড়িত টিএমসিপি কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে মহকুমা পুলিশ অফিসারের অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ-অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মানসের অভিযোগ, “সোমবার দলবদ্ধভাবে টিএমসিপি কর্মীরা ডিএসও কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছে।” অন্য দিকে, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি দীপক দাসের দাবি, মনোনয়নপত্র তোলার লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দু’একজনের মধ্যে বচসা ও অল্পবিস্তর হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। আসলে এ বারের নিবার্চনে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই মিথ্যা অভিযোগ করছে ডিএসও।” নন্দীগ্রামের জেলায় তৃণমূলের সঙ্গে এত দিন সুসম্পর্কই ছিল এসইউসি-র। তাদের ছাত্র সংগঠনগুলিও যৌথ আন্দোলনে সামিল হত কলেজে-কলেজে। রাজ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সম্পর্ক এখন অতীত। |