জো উইলফ্রেড সঙ্গা অনেকটা আমার ধাঁচের টেনিস প্লেয়ার। কোর্টে একইসঙ্গে জৌলুস আর নাটক আমদানি করতে পারে। ফ্লাশিং মেডোয় ওর সামনে ফেডেরার। যাকে ও এ বছর দু’বার হারিয়েছে। সঙ্গার সেরা ফর্মে আসার জন্য ছন্দ আর আত্মবিশ্বাসের দরকার হয় এবং এই মুহূর্তে সেই দু’টোই ওর দিকে আছে। ম্যাচটা ফাটাফাটি হবে। ফেডেরারকেও সত্যিই ভাল ফর্মে দেখাচ্ছে। দক্ষ সার্জেনের মতো ছুরি চালাচ্ছে যেন কোর্টে। সঙ্গা প্রচণ্ড একটা কঠিন ম্যাচ জিতল মার্ডি ফিশের বিরুদ্ধে। এখনও অবধি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দর্শনীয় ম্যাচ আমার মতে। ফিশের পিছনে পুরো স্টেডিয়াম ছিল এবং একটা সময় ২-১ সেটে এগিয়েও ছিল। কিন্তু সঙ্গা কিছু ম্যাজিক টেনিস-টাচ দেখিয়ে ম্যাচ বার করে নেয়। স্থানীয় মার্কিন তারকার চ্যালেঞ্জ টপকাতেও সঙ্গা বোধহয় ফেডেরারকে তাঁর দ্বিতীয় ঘর উইম্বলডনে হারানোর সেই উজ্জ্বলতম স্মৃতি থেকেই মনের জোর বাড়িয়েছিল। |
নাদালের সাংবাদিক সম্মেলনে আচমকা শারীরিক অসুস্থতাবোধ করাটা আমার মতে ওর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন অভিযানের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। ওটা স্রেফ সামান্য ‘ডিহাইড্রেশন’জনিত ক্র্যাম্প ছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে হওয়ায় সবাই জানতে পারল এই যা। নয়তো এত গরমে খেলে উঠে প্লেয়ারদের এ সব হয়েই থাকে। ম্যাচে নাদাল যথেষ্ট দাপট দেখিয়েই জিতেছে এবং সেটাই আমার কাছে আসল ব্যাপার। আমি পুরোপুরি আশা রাখি, পরের রাউন্ডে নাদাল আবার তাজা অবস্থায় নামবে, কোর্ট জুড়ে যথারীতি প্রচণ্ড দৌড়বে।
আমি বরং মেয়েদের সিঙ্গলসের বর্ণনা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছি। ড্র-এর নীচের অর্ধে যেমন উঁচু মানের টেনিস হচ্ছে, উপরের অর্ধের ততটাই নিচু মান! সবাই হারার ক্ষমতা রাখে এবং এহেন অদ্ভুত গভীরতার একমাত্র কারণ ধারাবাহিকতার অভাব। শারাপোভা সত্যিই বিশ্রী খেলে হেরেছে। একটা ম্যাচেই ৬০টা আনফোর্সড এরর! আমার তো মনে হয়, প্রিয় পাঠক, আপনি খেললেও এত বেশি ভুল শট মারতেন না। সুতরাং তৃতীয় বাছাইয়ের হারটা ‘অফিসে একটা খারাপ দিন’ হিসেবে চিহ্নিত হলে আমি মানব না। বিশ্বের এক নম্বর ওজনিয়াকি বর্ষীয়ান কুজনেৎসোভার বিরুদ্ধে হারতে হারতে বেঁচে গেছে। দ্বিতীয় বাছাই জোনারেভা শেষ আটে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু আমি এখনও সেরেনার উপর বাজি ধরব ট্রফি জেতার ব্যাপারে। |