নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্র পরিষদের ডাকা বন্ধে বন্ধই রইল মেদিনীপুর কমার্স কলেজে। গোলমাল এড়াতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলেজ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই এ দিন বন্ধ ডেকেছিল ছাত্র পরিষদ। কলেজ গেটে ছিল পোস্টার। ছাত্র পরিষদ নেতা মহম্মদ সইফুল্লা বলেন, “বন্ধ সফল হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা আমাদের পাশে থেকেই এই কর্মসূচি সফল করেছেন।” আজ, বুধবার থেকে কলেজে স্বাভাবিক পঠনপাঠন হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অধ্যক্ষ দিলীপ নিয়োগী বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। কলেজে পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।”
আগেও মেদিনীপুরে বারবার ছাত্র সংঘর্ষ হয়েছে। মেদিনীপুর কলেজে কখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে এসএফআইয়ের সংঘর্ষ বেধেছে। কখনও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্র পরিষদ। গোলমালের জেরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় ভাঙচুর পর্যন্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস-তৃণমূল, দু’দলের জেলা নেতৃত্ব বৈঠক করেছেন। তারপরেও অবস্থা যে পাল্টায়নি, সোমবার কমার্স কলেজে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অশান্তিতেই তা প্রমাণিত। |
১৪ সেপ্টেম্বর কমার্স কলেজে ছাত্র সংসদ ভোট। কমার্স কলেজে এবার ৩০টি আসনে ভোট হবে। কলেজের ছাত্র সংসদ ছাত্র পরিষদের দখলে ছিল। দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি আসনে একাধিক মনোনয়ন জমা দেয় ছাত্র পরিষদ। সোমবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র তুলতে কলেজে যেতেই ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। মুহূর্তে এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। ছাত্র পরিষদ নেতা সইফুল্লার অভিযোগ, “পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শহর সভাপতি বুদ্ধ মণ্ডল বলেন, “ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন।” তবে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজে পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এসএফআই। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডা বলেন, “বহিরাগতরা কলেজ চত্বরে ঢুকে অশান্তি করছে। ছাত্রছাত্রীর সন্ত্রস্ত। পুলিশের উচিৎ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।” পুলিশ জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি নজরদারি চলবে। |