রবিবার রাতে বালির যুবক জয়ন্ত কাঞ্জিলালের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই দমকলকর্মীকে সাসপেন্ড করল রাজ্য দমকল দফতর। মঙ্গলবার বিকেলে এ কথা জানান দমকলের ডিজি দুর্গাপ্রসাদ তারানিয়া। তিনি বলেন, “খবর পেয়েও কর্তব্য পালন না করার জন্য বালি দমকলের কর্মী অনিলচন্দ্র বাইরি ও হাওড়া কন্ট্রোলের কর্মী শৌভিক নাথকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
সোমবার বিকেলে বিষয়টি জেনেই দমকলের ডিজি-কে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। মঙ্গলবার সকালে বালি দমকল কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেখানে যান ডেপুটি ডিরেক্টর (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাস গুহ। রবিবার রাতে বালিতে ডিউটিতে থাকা সাত কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি, দমকল কেন্দ্রের উল্টোদিকে ঘটনাস্থলটিও ঘুরে দেখেন। বিভাসবাবু বলেন, “খবর পেয়েও সাত কর্মী কেন ওই জখম যুবককে নর্দমা থেকে উদ্ধার করেননি, লিখিত ভাবে তার জবাব নেওয়া হয়েছে ওই কর্মীদের থেকে।”
বিভাসবাবু আরও জানান, বালির কর্মীরা লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন কন্ট্রোল থেকেই তাঁদের যেতে বারণ করা হয়। ওই রাতে কন্ট্রোলে কর্তব্যরত কর্মী শৌভিক নাথ কেন ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তারও তদন্ত হবে। কোনও ঘটনার খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দমকলের গাড়ি নিয়ে কর্মীদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ আছে। ওই রাতে বালি দমকলের দায়িত্বে থাকা কর্মী (লিডার) অনিলচন্দ্র বাইরি কেন তা করেননি, সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভাসবাবু। তিনি বলেন, “আগে উদ্ধার কাজে গিয়ে পরে কন্ট্রোলকে জানালে হত।”
দমকল দফতর সূত্রে খবর, এ দিন বিকেলেই বিভাসবাবু তদন্ত রিপোর্ট ডিজি-কে পাঠান। সেখান থেকে তা যায় মন্ত্রীর কাছে। দমকলমন্ত্রী বলেন, “বালি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ও কন্ট্রোলের কর্মী, দু’জনেই ওই রাতে তাঁদের কর্তব্যে অবহেলা করেছিলেন। তাই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তদন্ত চলবে। অন্য কোনও কর্মীর দোষ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |