|
|
|
|
মমতাকে অন্ধকারে রাখা নিয়ে সরকারকে বিঁধবে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্র যে ভাবে তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছিল, তাতে মনমোহন সিংহ সরকারকে আক্রমণের আর একটি অস্ত্র পেয়ে গেল বিজেপি। বাংলাদেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হবে তারা। তবে এই আক্রমণ হবে ভিন্ন মোড়কে। বিরোধীদের অবজ্ঞা করা বা তাদের প্রকৃত তথ্য না জানানোর অভিযোগ তোলার পাশাপাশি এটাও বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হবে যে, মনমোহন সরকার তার শরিকদের কাছেই স্বচ্ছ নয়।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে সরকারের মনোভাব জানাতে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে আডবাণী, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজদের নিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু বিজেপি নেতারা মনে করছেন, বৈঠকে অনেক বিষয়ই তাঁদের জানানো হয়নি। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কালই সংসদের দুই কক্ষের বিরোধী নেতা জেটলি ও সুষমা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। আজ বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বৈঠকে সরকারের তরফে অনেক কিছুই গোপন করা হয়েছে। বিরোধীদের তো বটেই, এখন দেখা যাচ্ছে শরিক দল তৃণমূলকেই অন্ধকারে রেখে চুক্তি করতে যাচ্ছিল সরকার! কেন্দ্র যে সকলের ক্ষেত্রেই এই অবজ্ঞার রাজনীতি করছে, তা স্পষ্ট।”
বিজেপি-র মতে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে মমতার বৈঠকে বাংলাদেশকে ২৫ হাজার কিউসেক জল দেওয়ার কথা স্থির হওয়া সত্ত্বেও মমতাকে অন্ধকারে রেখেই রাজ্যের ভাগ কমানো হয়েছে। প্রতিবাদ না করে উপায় ছিল না মমতার। বিজেপি-র ওই নেতার মতে, “মমতা তাঁর অবস্থান থেকে ঠিক কাজ করেছেন। বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক করলেও সেখানে অর্ধসত্য বলা হচ্ছে। যাবতীয় ভাল ভাল বিষয় বিরোধীদের জানানো হচ্ছে, অথচ বৈঠকের পরে জানা যাচ্ছে, সরকার ভিন্ন পথে হাঁটছে। আডবাণী জানতে চাইলে বিরোধীদের বোঝানো হয়েছিল, ছিটমহল হস্তান্তর নিয়ে তেমন কোনও পদক্ষেপই সরকার করতে চাইছে না। তিস্তা চুক্তি নিয়েও সবিস্তার কিছু জানানো হয়নি সেই বৈঠকে।”
প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে বলে মন্তব্য করতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। নরেন্দ্র মোদী সরকারকে পাশ কাটিয়ে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে এমনিতেই সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে বিজেপি-র। যার জেরে আজ নিয়ে চতুর্থ দিন অচল হল সংসদ। বিজেপি-র বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে তোয়াক্কা না করে সরকার বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। অতীতে শর্ম-অল-শেখেও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে ভারতের অবস্থানের সঙ্গে সমঝোতা করে চলে এসেছেন মনমোহন। এ বারে সফরের আগে বিরোধীদের পাশে পাওয়ার চেষ্টা হলেও শরিকদের কাছেও কৌশলে আসল বিষয় এড়ানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|