টুকরো খবর

মারানকে জেরা নিয়ে প্রশ্নের মুখে সিবিআই
টু-জি তদন্তে তাদের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই। অণ্ণা-ঘনিষ্ঠ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারানকে গুরুত্ব দিয়ে জেরা করেনি সিবিআই। টু-জি চুক্তির পিছনে মারানের কতটা ভূমিকা ছিল, তা-ও ঠিক মতো দেখা হয়নি বলে দাবি প্রশান্তর। ১ সেপ্টেম্বর সিবিআই শীর্ষ আদালতে জানায়, দয়ানিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তদন্তে প্রমাণ মেলেনি। তবে এ দিন সিবিআই জানায়, দয়ানিধির বিরুদ্ধে প্রমাণ হাতে না-এলেও তাঁকে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয়নি। এখানেই শেষ নয়। স্পেকট্রাম তদন্তে সিবিআইকে আদালতে টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ট্রাই) রিপোর্ট দিতে হবে এই মর্মে দিল্লিতে বিশেষ আদালতে আবেদন করেছেন অভিযুক্ত ১৭ পক্ষই। তাঁদের অভিযোগ, চুক্তিতে দুর্নীতি করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কি না, তা ট্রাই-এর রিপোর্টেই জানা সম্ভব। সিবিআই যখন প্রাথমিক ভাবে তদন্তের নথি পেশ করে, তখনও রিপোর্ট আসেনি। এখন তা সিবিআইয়ের হাতে থাকলেও সেটা তারা পেশ করেনি। বিচারক ৯ তারিখ সিবিআইকে তাদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দুর্নীতি রোধে নতুন বিল
অণ্ণা হজারের আন্দোলনের পরে দুর্নীতি রোধে তাদের আন্তরিকতা বোঝাতে ফের আর একটি পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। এ দিন দুর্নীতি দমন বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেন, সরকার যা যা কেনে, তার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একটি ক্রয়নীতি (প্রকিওরমেন্ট পলিসি) বিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আনা হবে। অণ্ণার আন্দোলনের সময় কলকাতায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমন বিল আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নির্বাচনে অর্থ জোগানের ক্ষেত্রেও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপরে গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাহুল গাঁধী। সে ব্যাপারে একটি নোট এ দিন বৈঠকে পেশ করেন বীরাপ্পা মইলি।

রেড্ডিরা খাচ্ছেন ভাত-ডাল, শয্যা মেঝেতে
রেড্ডিদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে মোটরবাইক মিছিল। কর্নাটকের বল্লারিতে। পি টি আই
প্রাতরাশ সারতে হেলিকপ্টারে অবলীলায় উড়ে যেতেন বল্লারি থেকে বেঙ্গালুরু। আর গত কাল কি না অন্য বন্দিদের সঙ্গে ভাত ডাল সব্জি খেয়ে মেঝেতে শুয়েই কাটাতে হল রাত। অবৈধ খনন কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কর্নাটকের প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী জনার্দন রেড্ডি ও তাঁর শ্যালক শ্রীনিবাস রেড্ডিকে। চঞ্চলগুড়া সেন্ট্রাল জেলে প্রথম দিনেই চরম বেকায়দায় পড়েছেন বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত দু’জনেই। সকালে খেতে হয়েছে খিচুড়ি। এর পর থেকে অন্য বন্দিদের মতো তাঁদেরও দাঁড়াতে হবে খাবারের লাইনে, ধুতে হবে থালা, পরিষ্কার করতে হবে জামাকাপড় ও নিজের জায়গা। জেলসুপার জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করার কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি। অন্য দিকে জনার্দন ও শ্রীনিবাসের গ্রেফতারের ঘটনায় আজ রেড্ডি-সমর্থকদের ডাকা বল্লারি বন্ধে ভাল রকমই সাড়া পাওয়া গেল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি অফিসে। ঘটনার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভকারী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় বলেও শোনা গিয়েছে।

অপহৃত বালক মুক্ত
অপহরণের তিন দিন পরে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেল ৯ বছরের এক বালক। ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। পুলিশ জানায়, গত শনিবার সার্কুলার রোডে একটি শপিং মলের কাছ থেকে অঙ্কুশ ঝা নামে একটি ছেলেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে বালকটির পরিবার পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়। জঙ্গিদের তরফ থেকে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে পুলিশের দাবি, অঙ্কুশের পরিবারকে কোনও মুক্তিপণ দিতে হয়নি। কাল সন্ধ্যায় ডিমাপুর স্টেডিয়ামের কাছে হাত বাঁধা অবস্থায় অঙ্কুশকে দেখতে পায় স্থানীয় কিশোররা। তাদেরই একজন সাইকেলে চাপিয়ে তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে আসে। অঙ্কুশ আপাতত সুস্থ। কারা, কোন উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করেছিল তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অন্য দিকে, আগরতলার সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণ ত্রিপুরার উজানবাড়ি রিয়াং পাড়া থেকে জুনের শেষে এনএলএফটি-র (বিএম) সশস্ত্র জঙ্গিরা ছ’জন গ্রামবাসীকে অপহরণ করে। এ মাসের গোড়ায় মুক্তি পেয়ে অপহৃত পাঁচ জন বাড়ি ফিরে আসেন। বাংলাদেশের গভীর জঙ্গলে জঙ্গিদের ডেরায় আটকে ছিলেন ওই ছ’ জনের মধ্যে একমাত্র গুলমণি চাকমা (২৩)। তিনিও গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এসেছেন। নতুনবাজার থানা ওসি’র সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

বন্ধ শিথিল, কিছুটা স্বস্তি মণিপুরবাসীর
অবশেষে পার্বত্য মণিপুরবাসীকে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে সার্বিক বন্ধ প্রত্যাহার করল ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল। তবে অর্থনৈতিক অবরোধ চলবে আগের মতোই। আজ সকালে বন্ধ তুলে নেওয়া হয়। তারপরই চলতে শুরু করেছে বাস ও ট্যাক্সি। ইউএনসি-র তরফে জানানো হয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ দেখালে, অর্থনৈতিক অবরোধ থেকে ওষুধবাহী গাড়িকে ছাড় দেওয়া হবে। সদর হিল জেলা গঠনের প্রতিবাদে ২১ অগস্ট থেকে পার্বত্য মণিপুরের চারটি জেলা জুড়ে বন্ধ শুরু করে ইউএনসি। তাদের দাবি, নাগা এলাকার ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার কেবল নাগাদের হাতেই ছাড়তে হবে। গত কালও বন্ধ সমর্থকদের হাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৬টি গাড়ি। পুলিশ জানায়, ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দু’টি মারুতি এবং চারটি টাটা সুমো ভাঙচুর করে বন্ধ সমর্থকেরা। অন্য দিকে, তফসিল উপজাতির অধিকার ও পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে আজ সকালে, অসমের নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে রেল অবরোধ করে আক্রাসু। অবরোধ হঠাতে পুলিশ লাঠি চালায় ও শূন্যে গুলি ছোড়ে। পরে, অবরোধকারীরা ফের জড়ো হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। পুলিশের বিরাট বাহিনী পাল্টা লাঠি চালিয়ে ও কাঁদানে গ্যস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খণ্ডযুদ্ধের জেরে রাজধানী এক্সপ্রেস প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকে। অবরোধকারীদের উপরে পুলিশি ‘বর্বরতা’র প্রতিবাদে, কাল থেকে ৩৬ ঘণ্টা অসম বন্ধের ডাক দিয়েছে আক্রাসু।

নদী সংযুক্তি প্রকল্পের কাজ চলছে বিহারে
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সেচের উন্নতির কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি নদী সংযুক্তি প্রকল্পের উপরে কাজ চলছে বিহারে। রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি জানিয়েছেন, বুড়ি গণ্ডক-নুন-বায়া এবং গঙ্গার সংযুক্তি প্রকল্পের প্রাথমিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছে জাতীয় জলসম্পদ উন্নয়ন সংস্থা। সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “ওই প্রকল্পের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। এ বার তার ভিত্তিতে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় জলসম্পদ উন্নয়ন সংস্থা।” রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে যে নদী সংযুক্তি প্রকল্পের উপরে বিহার সরকার কাজ শুরু করেছে, তার মধ্যে পাঁচটি প্রকল্পই বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য। এ ছাড়া, দু’টি প্রকল্প রয়েছে সেচের উন্নয়নের জন্য এবং একটি প্রকল্প জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার জন্য। বিজয় চৌধুরি জানিয়েছেন, বুড়ি গণ্ডক-নুন-বায়া-গঙ্গার সংযুক্তি প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ত্রয়োদশ আর্থিক কমিশনের তরফে ৩৩৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে এই খরচ চারশো কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয় গিয়েছে। অন্য দিকে, বুড়ি গণ্ডক এবং গঙ্গার মধ্যে সংযুক্তি প্রকল্পের মধ্যেই উত্তর বিহারে আরও একটি নদী সংযুক্তি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বিহার সরকার। সেটি হল, কোশী-মেচি সংযুক্তি প্রকল্প। বিজয় চৌধুরির দাবি, “এই প্রকল্পটি শেষ হলে সুপোল, সহর্ষ, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ এবং পূর্ণিয়ায় সেচের কাজে প্রভূত উন্নয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় জলসম্পদ উন্নয়ন সংস্থা এই প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট আমাদেরই তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। পুরো প্রকল্পে খরচ হবে ৪৪৪১.৮২ কোটি টাকা।”

আত্মজাকে খুন, গ্রেফতার বাবা
নিজের পাঁচ দিনের কন্যাসন্তানকে হত্যার দায়ে দক্ষিণ পদ্মবিলের আব্দুল মালেককে পুলিশ গ্রেফতার করল। অসমের নাগরা অঞ্চলের মুজিবর রহমনের মেয়ে আজিবুল নীহাকে (২০) আব্দুল মালেক কিছু দিন আগে বিয়ে করেছিলেন। সম্প্রতি দক্ষিণ পদ্মবিলের উপ্তাখালি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আজিবুল নীহা একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় সদ্যোজাতিকা-সহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় আব্দুল। কয়েক দিনের মধ্যেই পানিসাগর থানার দক্ষিণ পদ্মবিল গ্রামের মোড়লের সহায়তায় আজিবুল নীহা তাঁর স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। পুলিশ জানায়, গত শনিবার আব্দুল মালেক তাঁর পাঁচ দিনের কন্যা শিশুসন্তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। পরে প্রতিবেশী মহম্মদ আব্দুল্লাহ এবং গোলাপজান বিবির সাহায্যে দক্ষিণ পদ্মবিল গ্রামের নির্জন একটি জায়গায় মৃত কন্যাসন্তানের দেহটি আব্দুল পুঁতে দেয়। পানিসাগর থানার পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে আব্দুল মালেককে কাল রাতে গ্রেফতার করে। প্রতিবেশী ওই দু’জন গা ঢাকা দেওয়ায় পুলিশ এখনও তাদের ধরতে পারেনি। তাদের খোঁজে পুলিশ এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে।

গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ৩ জনের
রাস্তা পারাপার হওয়ার সময়ে গাড়ির ধাক্কায় একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার পারসোনি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, হরেন্দ্র রায় (৩০) তাঁর ছেলে মনীশ (৫) এবং মেয়ে ঊষাকে (৩) নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। ঠিক সে সময়ে উল্টো দিক থেকে একটি গাড়ি এসে তাঁদের চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত অফিসার
দশ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন গয়ার এক সার্কেল অফিসার। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গয়া জেলার টনকুপ্পায়। জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় অরুণ কুমার সিংহ নামের ওই সার্কেল অফিসার ইন্দ্রদেও প্রসাদের কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। ইন্দ্রদেও রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতরে গিয়ে ঘটনার কথা জানিয়ে অরুণের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই গয়ার ভিজিল্যান্স অফিসারেরা ইন্দ্রদেওকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো ছক কষা হয়। ইন্দ্রদেওয়ের কাছ থেকে ১০ হাজার ঘুষ নেওয়ার সময়েই অরুণকে হাতেনাতে ধরেন ভিজিল্যান্স অফিসারেরা। গ্রেফতার করার পরে তাঁকে ভিজিল্যান্স আদালতে তোলার জন্য পটনায় পাঠানো হয়।

গেট নির্মাণের প্রতিবাদে চন্দ্রপুরায় রেল রোকো
চন্দ্রপুরা স্টেশনে ‘রেল-রোকো’। মঙ্গলবার চন্দন পালের তোলা ছবি।
বোকারো জেলার চন্দ্রপুরা স্টেশনে ‘রেল-রোকো’-র জেরে দিনভর ধানবাদ-বোকারোয় রেল চলাচল ব্যাহত হল। দুর্ঘটনা এড়াতে চন্দ্রপুরা স্টেশনে পশ্চিম কেবিনের দিকে রেলগেট নির্মাণ করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ক্ষোভ বিক্ষোভকারীদের। ডুমরির বিধায়ক জগন্নাথ মাহাতোর নেতৃত্বে তাই চন্দ্রপুরা স্টেশনে দিনভর রেল অবরোধ করা হয়। আন্দোলনকারীদর বক্তব্য, রেলগেট নির্মাণ করা হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিস্তর ঘুরে স্থানীয় বাজারে যেতে হবে। এই বিক্ষোভের জেরে হাওড়া-রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধানবাদ-বোকারো না গিয়ে আসানসোল-আদ্রা-টাটা রুটে যাতায়াত করে। সন্ধ্যায় চন্দ্রপুরা থানায় বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীরা গ্রেফতারবরণ করেন।

গোয়ায় নামার সময় ফাটলো বিমানের চাকা
অল্পের জন্য রক্ষা পেল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। আজ সকাল আটটা নাগাদ গোয়া বিমানবন্দরে নামার সময় বিমানের সামনের দু’টি চাকা ফেটে যায়। তবে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ১০৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি কুয়েত থেকে আসছিল। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি নেমে রানওয়ের শেষ প্রান্তের দিকে যাওয়ার সময়ই সামনের দু’টি চাকা ফেটে যায়। বিপদ বুঝে পাইলট পাশের ট্যাক্সিওয়েতে বিমানটিকে নিয়ে চলে যান। ১০৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৬৮ জনের চেন্নাইয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই ঘটনার পরে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ একটি অন্য বিমানে তাঁদের চেন্নাই যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কয়েক দিন আগেই কোচিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে নামতে গিয়ে রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়েছিল গাল্ফ এয়ারের একটি বিমান। তার পরে গত শুক্রবার মুম্বই বিমানবন্দরেও বৃষ্টিতে রানওয়ে থেকে পিছলে যায় তুরস্ক এয়ারলাইন্সের একটি বিমান।

তৃণমূলের ঘর বিভ্রাট
ঘর বিভ্রাট পিছু ছাড়তে চাইছে না তৃণমূলের। এর আগে সংসদে রেলমন্ত্রীর ঘরই তাদের প্রায় বেহাত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংসদে তাদের নতুন ঘর দেওয়ার দাবি করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পছন্দ ১২৯ নম্বর ঘর, যা লালুপ্রসাদের আর জে ডি-র দখলে। তৃণমূলের যুক্তি, আর জে ডি-র সাংসদ সংখ্যা কমেছে, ফলে ওই বড় ঘর আর তাদের দরকার নেই। অথচ তৃণমূলের সাংসদ বেড়েছে। আজ লোকসভার সচিবালয়ের তরফে তৃণমূলকে জানানো হয়, ১২৯ নম্বর ঘর তাদের দেওয়া হয়েছে। সেইমতো দলের তিন মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘর দেখতে যান। গিয়ে দেখেন কোথায় কী? ঘরে তো আরজেডি সাংসদরাই জমিয়ে বসে আছেন। তাঁরা সাফ জানান, ঘর তাঁরা ছাড়তে পারবেন না! তবে তৃণমূল মন্ত্রীদের তাঁরা জলযোগ করান। তবে তাতে তো আর ঘর সমস্যা মেটেনি। ফলে ফের স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।

কবে ঘুম ভাঙবে, কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
কবে ঘুম ভাঙবে আপনাদের দেশের শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করেই মঙ্গলবার ভর্ৎসনা করল কেন্দ্রীয় সরকারকে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মধ্যে জল-বিতর্ক মেটাতে দু’বছর আগে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ না মানায় কেন্দ্রের উপরে ক্ষুব্ধ কোর্ট। বিচারপতি আলতমাস কবীর, বিচারপতি এস এস নিজ্জর এবং বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছে, “আপনারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করছেন। এবং ছাড়ও পেয়ে যাচ্ছেন। কবে আপনাদের ঘুম ভাঙবে? ঘুম ভাঙাতে কী দিতে হবে আপনাদের?” বেঞ্চের মতে, কোর্ট বারবার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র উদ্যোগী হয়নি। ভারত সরকারের কাছ থেকে এই কাজ আশা করা যায় না। ‘বংশধারা জল-বিতর্ক ট্রাইব্যুনাল’ নিয়ে অন্ধ্র সরকারের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্ধ্র সরকারের পক্ষে আইনজীবী সি এ, বৈদ্যনাথন জানান, ২০০৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ছ’মাসের মধ্যে ওই ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্র ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা ঘোষণা করে ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তার পরে তা গঠন হলেও ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রয়োজনীয় দফতর বা পরিকাঠামোর ব্যবস্থাই করা হয়নি। বিষয়টি জানার পরে ওই বছরই ৮ এপ্রিল এবং ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশেও কেন্দ্র কান দেয়নি বলে অভিযোগ অন্ধ্র সরকারের।

মাওবাদী ডেরায় ছবি সনিয়া-রাহুলের
ভারত এবং বিদেশের বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের ছবি মিলল একটি পরিত্যক্ত মাওবাদী শিবির থেকে। এর মধ্যে রয়েছেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং সানিয়া মির্জা। পুলিশ সূত্রের খবর, রায়পুর থকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে নওয়াগড় অঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় মাওবাদীদের। তারা শিবির ছেড়ে পালিয়ে গেলে সেখান থেকে ছবিগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের এক কর্তার মতে, মাওবাদী দলে নতুন যোগ দেওয়া সদস্যদের দেশ-বিদেশের শীর্ষ নেতাদের পরিচয় করাতেই ব্যবহার হয়েছিল ছবিগুলি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.