টাকা ছিনতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
ভরদুপুরে ছিনতাই হল এক ঠিকাদারের টাকা। বোলপুরের ঘটনা। মঙ্গলবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে শান্তিনিকেতন রোড ধরে ফিরছিলেন নানুরের পাকুড়হাঁস গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় ঠিকাদার প্রশান্ত সরকার। বোলপুর সুপারমার্কেটের সামনে তাঁর টাকা ছিনতাই করে মোটরবাইকে চেপে আসা দুই দুষ্কৃতী। প্রশান্তবাবু জানান, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় কাজ করা শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য এ দিন দাদা সুশান্ত সরকারের অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন। হেঁটে অন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। প্রশান্তবাবুর কথায়, “সুপার মার্কেটের সামনে আচমকাই আমারা পথ আটাকয় বাইক আরোহী দুই যুবক। কিছু বোঝার আগেই আমার হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ওদের ধাওয়া করি। ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে কিছু দূর গিয়ে একটা গলিতে হারিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ করেছি।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এখনও কেউ ধরা পড়েনি। |
স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
অবিলম্বে কারা দফতরের শূন্যপদ পূরণ, কারারক্ষিদের দিয়ে অন্য কাজ না করানো-সহ ৯ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারের সামনে বিক্ষোভ দেখাল জয়েন্ট কাউন্সিলের পশ্চিমবঙ্গ কারারক্ষা সমিতি। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তারা স্মারকলিপিও দেয়। এ আইজি (কারা) কমলকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দাবিগুলি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
স্কুলে অশান্তি, পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁতুড়ি |
স্কুলের নথিপত্র আটক করে অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বিডিও। পরে, সেই নথি ও চাবি ফেরত পেয়ে ‘গোপনে’ অফিস ঘর খুলে নথিপত্র ত্রুটি মুক্ত করছিলেন প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক। এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের ভিতরেই তাঁদের দু’জন- সহ কয়েক জন শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখল তৃণমূল কর্মীরা। স্কুলের সামনে বাঁকুড়া-রাঘুনাথপুর রাস্তাও সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ করে রাখলেন। ঘটনাটি সাঁতুড়ি হাইস্কুলের। এই ঘটনায় স্কুলের পঠন পাঠনও বন্ধ থাকে। মিড-ডে-মিলে দুর্নীতি, তপশিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের ভাতা দেওয়া থেকে নানান অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় মাহাতোকে রাত পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীরা ঘেরাও করে রেখেছিলেন। সাঁতুড়ির বিডিও ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য গিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করে তা আটক করে অফিসের দরজায় তালা ধোলানোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিডিও জানান, নথিপত্র ও অফিসের চাবি সোমবার জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর কাছে পাঠানো হয়। তিনি তা গ্রহণ না করে স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা সিপিএমের সাঁতুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক মনবোধ মুর্মুর কাছে জমা দিতে বলেন। সেখান থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর অভিযোগ, চাবি পেয়ে আমাদের না জামিয়ে গোপনে মনবোধবাবু ও প্রধান শিক্ষক নথিপত্রের ভুল সংশোধন করছিলেন বলে খবর পাই। তাই তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক রাধারানি মুখোপাধ্যায় ও প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মনবোধবাবুর দাবি, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। চাবি ফিরিয়ে দেওয়ার সময় অফিসের তালা খোলা যাবে না তা বলেনি তো। পরিচালন সমিতি’র এ ব্যাপারে বৈঠক করার জন্যই অফিস খোলা হয়েছিল।” বিডিও অবশ্য বলেন, “জেলা স্কুল পরিদর্শক এবার যা করার করবে।” |