পঞ্চায়েতে ভাঙচুরেরনালিশ
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজার ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রধান বাসুদেব মালের দাবি, “তাঁকে আক্রমণ করতেই হানা দিয়েছিল সিপিএমের সমর্থকেরা। আমাকে না পেয়ে তারা ভাঙচুর করে।” এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, সিপিএমের শৈবা দাসের স্বামী বিশ্বনাথ দাস-সহ ১০ জনের নামে ওই দিন রাতে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।
রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ৫। সিপিএম ৩ এবং কংগ্রেস ২। প্রধান হন সিপিএমের সুকুমার সাহা। কয়েক মাস পরে কংগ্রেসের ২ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। কিছু দিনের মধ্যে সিপিএম সদস্য দেবনাথ সোরেন তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তৃণমূল। সেই মতো বছর দেড়েক আগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে এবং জিতে প্রধান হন তৃণমূলের বাসুদেব মাল। কিন্তু উপপ্রধান তেকে যান সিপিএমের শৈবা দাস। এর পরেই কার্যত কাজকর্মে জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রধানের অভিযোগ, “মাস খানেক আগে কিছু সিপিএম সমর্থক পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে দিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে একটি রাস্তার কাজে ওয়ার্ক অর্ডার লিখিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করি। তার পর থেকেই তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।”
সিপিএমের মহম্মদবাজারের (ঝাড়খণ্ড সীমান্ত) লোকাল কমিটির সম্পাদক আনন্দ মির্ধা বলেন, “এটা মিথ্যাচার। সোমবারের ঘটনার জন্য প্রধানই দায়ী। নিয়ম নীতি নামে ১০০ দিনের প্রকল্পে একটি রাস্তার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেন উপপ্রধান মনোনীত এক জনকে। ওই ব্যক্তি কাজ করতে গিয়ে দেখছেন, একই রাস্তার কাজ অপর প্রান্তে অন্যজন করছেন। তখন থেকেই বিশৃঙ্খলা চরমে ওঠে। এ দিকে দিন মজুরেরা প্রাপ্য টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।” তাঁর দাবি, “প্রাপ্য টাকার দাবিতে পঞ্চায়েতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। প্রধানকে না পেয়ে ভাঙচুর করেন। পুলিশ তদন্ত না করেই মিথ্যা অভিযোগে দু’জনকে ধরেছে।”
বিডিও অসীম পাল বলেন, “১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তার কাজের সঙ্গে যুক্ত মজুরদের মজুরি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে মাস খানেক আগে থেকে একটা উত্তেজনা ছিল। প্রধান, উপপ্রধান, ব্লক সভাপতি ও নিজে উপস্থিত থেকে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়। প্রধান ও উপপ্রধানকে বলা হয় যাঁরা প্রকৃত কাজ- করছেন তাঁদের চিহ্নিত করে মজুরি দেওয়া হোক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা মজুরি না পাওয়ায় পঞ্চায়েতে ভাঙচুর করেছেন বলে শুনেছি। রাতেই প্রধানকে লিখিত ভাবে থানায় জানাতে বলেছিলাম।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.