নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
স্টেশন চত্বরে অটো, ট্রেকার বা অন্য যানবাহন রাখলে দৈনিক ৩০ টাকা করে ‘ফি’ দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক মঞ্চে হাজির হল তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের শ্রমিক সংগঠনগুলি। ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্বের উপস্থিতে সকালে ২ ঘণ্টা রামপুরহাট স্টেশন চত্বর থেকে কোনও গাড়ি চলাচল করতে দেননি সমর্থকেরা। পরে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে পৃথক পৃথক ভাবে স্মারকলিপি দেন। স্টেশন ম্যানেজার আনন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তাঁদের দাবির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল বলেন, “এ ব্যাপারে যা বলার ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজার বলবেন।” |
পার্কিং জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার তথা রামপুরহাট শহর তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ফি আদায় করার জন্য রেল দরপত্র ডেকেছিল। সেই মতো আমি টাকা জমা দিয়েছি। বিষয়টি এখন রেলকর্তৃপক্ষের উপরে নির্ভর করছে। যে পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছি সেই মতো আমাকে টাকা আদায় করতে হবে।” তৃণমূল প্রভাবতি রামপুরহাট অটো রিকশা ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, “তারাপীঠে উৎসব ছাড়া, বহু গাড়ি চালকেরা বা মালিকেরা অধিকাংশ শিক্ষিক বেকার যুবক। চাকরি না পেয়ে ঋ
ণ নিয়ে গাড়ি কিনে বা গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এই অবস্থায় ৩০ টাকা করে দেওয়া সম্ভব নয়।” সিটু অনুমোদিক পশ্চিমবঙ্গ অটো রিকশা অপারেটরস ইউনিয়নের রামপুরহাট শাখার সম্পাদক বিমল দাসের যুক্তি, “দীর্ঘ দিন ধরে স্টেশন চত্বরে কোনও ব্যবস্থা ছাড়াই পরিষেবা দিয়ে আসছি। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারলাম। এই অমানবিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা এ দিন মিলিত হয়েছি।” অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রভাবিত অটোরিকশা ও ট্রেকার ইউনিয়নের অন্যতম নেতা আব্দুর রেকিবের সাফ জবাব, “সরকারকে রোড ট্যাক্স ও পারমিট চার্জ দিয়ে ৩০ টাকা ফি দেওয়া সম্ভব নয়।” |