দুর্নীতির অভিযোগে কালনা ১ ব্লকের সিমলন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির দুই প্রাক্তন সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুনীল সর্দার ও বিষ্ণুপদ বাগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর কালনা ১ ব্লকের কো-অপারেটিভ সোসাইটির ইন্সপেক্টর জয়ন্ত রানা কালনা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ২০০৮-০৯ আর্থিক বছরে এই সমবায় সহায়ক মূল্যে আলু কিনতে গিয়ে দুর্নীতি করেছে। সমবায়ের দুর্নীতির পরিমাণ ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৮৩ টাকা। এর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে তিনি পাঁচ পরিচালন সমিতির সদস্যের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। কালনা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, বাকি তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি এই সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছিল তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ২০০৮-০৯ আর্থিক বছরে আলু চাষে চরম ক্ষতি হয়েছিল। তাই সরকার সহায়ক মূল্যে সমবায়ের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনে। সিমলন সমবায়ের নামে ১৭ বস্তা আলু বরাদ্দ হয়। সমবায় ঠিক করেছিল, চাষি ও শেয়ার হোল্ডারদের কাছ থেকে ১০০ বস্তা করে আলু কেনা হবে। তৃণমূলের অভিযোগ, নিয়ম মেনে চাষিদের কাছ থেকে আলু না কিনে ওই সমবায় সমিতি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। স্বজন-পোষণ করেন সমবায় সমিতির সদস্যরা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথমে সমবায় সমিতি ঘেরাও ও পরে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি (বর্ধমান রেঞ্জ ২)-র কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্দেশে কালনা ১ ব্লকের কো-অপারেটিভ সোসাইটির ইন্সপেক্টর তদন্ত শুরু করেন। এর পরেই ওই পাঁচ জনের নামে দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয় থানায়। তৃণমূলের সিমলন গ্রাম কমিটির সভাপতি ভাস্কর সামন্ত বলেন, “আমরা যে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলাম, পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করায় তা সঠিক প্রমাণিত হল।” তৃণমূলের জেলা কৃষি সমবায় সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজকুমার পাণ্ডের কথায়, “শুধু সিমলন সমবায় সমিতিই নয়, মহকুমার শাঁখাটি, কাঁকুরিয়া ও দীর্ঘপাড়া সমবায় সমিতির বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমরা তদন্তের জন্য অ্যাসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাছে আবেদন জানাব।”
|