টুকরো খবর

রানিগঞ্জের স্কুলে মিড-ডে মিলের সমস্যা মিটল
মহকুমাশাসকের অফিসে সর্বদল বৈঠকের পরে মিড-ডে মিল নিয়ে অচলাবস্থা কাটল রানিগঞ্জের জেমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার এই বৈঠকে কর্মী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা কাটে। স্কুল সূত্রে জানা যায়, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে ১৫ জন মিড-ডে মিল রান্নার কাজ করতেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ঝামেলার জেরে ১২ জন কাজ ছেড়ে চলে যান। অগস্টে তাঁদের মধ্যে ৯ জন ফের কাজ করতে চান বলে জানান। সেই মতো সিপিএম পরিচালিত স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি, বিডিও, এসআই এবং তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঠিক হয়, এক সপ্তাহ অন্তর চার জন করে রান্নার কাজ করবেন। ১ সেপ্টেম্বর ৪ জন কাজ করতে গেলে তৃণমূলের লোকজন বাধা দেন বলে অভিযোগ। পরের দিনও বাধা দেওয়া হয়। তৃণমূলের দাবি ছিল, যে তিন জন কাজ করছিলেন, তাঁরা এক মাস এবং অন্য ৯ জন পরের মাস, এই হিসেবে কাজ করবেন। এ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হলে আসানসোলের মহকুমাশাসক মঙ্গলবার বৈঠক ডাকেন। মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, ঠিক হয়েছে প্রতি মাসে তিন জন করে কাজ করবেন। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের তরফে বৈঠকে উপস্থিত জিতেন তিওয়ারি জানান, সমস্যা মিটে গিয়েছে।

ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধৃত
এক ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে পাকড়াও করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দিলেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা। এই শাখার অফিসার মলয় মজুমদার জানিয়েছেন, সোমবার আসানসোল ডিভিশনের সীতারামপুর স্টেশনে কর্মরত টিকিট পরীক্ষক এক জন রেল যাত্রীর কাছে তাঁর টিকিট দেখতে চান। কিন্তু অমিত কুমার নামে ওই যাত্রী নিজেকে এক জন রেলের টিকিট পরীক্ষক পরিচয় দেন। তিনি নিজের পরিচয়পত্রটিও দেখান। সেটি দেখার পরেই কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকের সন্দেহ হয়। তিনি ওই যাত্রীকে আটকে রেখে খবর দেন দুর্নীতি দমন শাখায়। অফিসারেরা ঘটনাস্থলে এসে পরিচয়পত্রটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন সেটি ভুয়ো। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মাস তিনেক আগে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে সে রেলে নিয়োগ পেয়েছে। বর্তমানে খিদিরপুরে তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে। তাঁকে আসানসোল রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

কয়লায় পাথর মেশানোয় গ্রেফতার তিন
বৈধ কয়লায় পাথরের গুঁড়ো মেশানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল জামুড়িয়া থানার পুলিশ। এই কাজে জড়িত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় মিঠানি ও বেজডি কোলিয়ারি থেকে তিন লরি কয়লা আসে জামুড়িয়ার একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানান, ওই কয়লায় বেশ কিছু পরিমাণ কয়লার বদলে পাথর গুঁড়ো, স্ল্যাগ গুঁড়ো ইত্যাদি মেশানো রয়েছে। জামুড়িয়ার ওসি মাধব মণ্ডল জানান, রাতেই লরির চালকদের গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ধৃতেরা জানায়, তাঁদের মালিক রানিসায়রে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে দাঁড়াতে বলেন। তার পরে সেখান থেকে তাঁদের রানিগঞ্জের বাঁশড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে লরি থেকে কয়লা নামিয়ে নেওয়া হয়। তার পরে পাথর গুঁড়ো মিশিয়ে কারখানায় পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের মঙ্গলবার সকালে বাঁশড়ায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারাই অবৈধ কাজকর্মের ডিপো দেখিয়ে দেয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পাথর ও কয়লার গুঁড়ো পড়ে রয়েছে। ওসি বলেন, “লরির মালিক, চালক ও ডিপোর মালিকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

কর্মী জখম, রেল ইয়ার্ডে ভাঙচুর
মালগড়ির বগির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার সময়ে চাপা পড়ে গুরুতর জখম হন এক রেলকর্মী। সুরক্ষার অভাবের অভিযোগে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে ভাঙচুর চালান কয়েক জন। মঙ্গলবার অন্ডালের রেল ইয়ার্ডের বক্স অ্যান্ড ডিপোর ঘটনা। ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিএমই) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন অমনীশ সিংহ-সহ দুই কর্মী। চাকা খোলার সময়ে পদ্ধতি অনুযায়ী বগিটিকে ঠেকা দিয়ে দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ তা ভেঙে পড়লে বগি অমনীশবাবুর উপরে পড়ে।
কর্মী জখম, অন্ডাল রেল ইয়ার্ডে ইঞ্জিনিয়ারের অফিস ভাঙচুর। ছবি: নিজস্ব চিত্র
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুর্ঘটনার খবর শুনে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার সোমেশ্বর দত্তের চেম্বারের সামনে জড়ো হন বেশ কিছু কর্মী। সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। সোমেশ্বরবাবু সুপারভাইজারদের বিশ্রামঘরে আশ্রয় নেন। তাঁর মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়। দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিএমই পি এন শর্মা। ক্ষুব্ধ কর্মীরা তাঁর কাছে অভিযোগ জানান, এখানে কোনও সুরক্ষা নেই। এছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার দুর্ব্যবহার করেন বলেও তাঁদের অভিযোগ। ডিএমই উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা নিরস্ত হন। আসানসোলের ডিআরএম জগদানন্দ ঝা জানান, ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্কুলে নতুন ভবন গড়ল ডিএসপি
উচ্চ মাধ্যমিক চালু হওয়ার পরে পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে। দরকার ছিল অতিরিক্ত কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ। কাঁকসার আমলাজোড়া হাইস্কুলের সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (ডিএসপি) কর্তৃপক্ষ। শৌচাগার-সহ একটি দোতলা ছয় কক্ষ বিশিষ্ট ভবন গড়ে দিয়েছেন তাঁরা। সোমবার শিক্ষক দিবসের সকালে সেই ভবনের উদ্বোধন করেন সংস্থার সিইও পঙ্কজকুমার বাজাজ। তিনি বলেন, “শিক্ষার প্রসারে বরাবরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ডিএসপি। ভবিষ্যতেও এই প্রয়াস চালু থাকবে।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৯৮৪ জন। যার ৫১ শতাংশ ছাত্র, ৪৯ শতাংশ ছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিক চালু হওয়ার পর পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সিএসআর প্রকল্পে ওই স্কুলে ছ’টি শ্রেণিকক্ষ গড়ে দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। প্রধান শিক্ষক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “ডিএসপি যে ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল, তার তুলনা হয় না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.