|
|
|
|
টুকরো খবর |
রাজ্যে কিছু প্রকল্প শিলান্যাসের আশা চলতি মাসেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চলতি মাসেই বেশ কয়েকটি সংস্থার নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ঠাসা কর্মসূচির মধ্যে এ জন্য সময় দিতে পারবেন কি না, তার উপরেই সবটা নির্ভর করছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আসানসোলে হাজার কোটি টাকার কোলবেড মিথেন-সহ কিছু প্রকল্পের ব্যাপারেও শিল্প দফতর শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি। এ দিন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের দফতরে কোর-গ্রুপের বৈঠকের পরে পার্থবাবু বলেন, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের যে পরিকাঠামো গড়ছেন, তার শিলান্যাস দু’-তিন দিনের মধ্যে হওয়ার কথা। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। পাশাপাশি এ মাসেই হলদিয়ায় চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর আর একটি প্রকল্পের শিলান্যাস হওয়ার কথা। একই সঙ্গে খড়্গপুরে শিল্পতালুকে ট্র্যাক্টর ইন্ডিয়া-র ভারী যন্ত্র কারখানা, বারাসতে কেভেন্টার্সের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প ও হাওড়ার ফাউন্ড্রি পার্কের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিলান্যাসও শীঘ্রই হতে পারে বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। এ দিকে এ দিনই নিগমের অফিসে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন অনাবাসী বাঙালি শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়। শিল্পমন্ত্রী জানান, নয়াচর নিয়ে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্যের হাতে এসেছে। সরকার এ বার সংস্থার আর্থিক সঙ্গতির বিষয়টি জানতে চেয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্য দু’-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে। শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর জমি সংক্রান্ত সমস্যা প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রীর আশ্বাস, আইন মেনেই সব কিছু হবে। গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। পার্থবাবু তাঁকে জানিয়েছেন, জমি-সমস্যা সুরাহার পরেই সাক্ষাতের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। |
কী শর্তে বন্দি মুক্তি, বিতণ্ডা বিধানসভায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে এক দফা বাগ্বিতণ্ডা হয়। রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ৫০ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। অন্য দু’জনের মুক্তি নিয়ে সরকার বিবেচনা করছে। বিরোধী সদস্য তজমুল হোসেন এ দিন প্রশ্ন করেন, ঠিক ক’জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে? জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য স্তরে একটি বন্দি মুক্তি কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটিই পর্যালোচনা বিষয়টি করছে।” বিরোধী দলনেতা, সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রশ্ন ছিল, কী শর্তে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে? পার্থবাবু বলেন, “এখনই কিছু বলছি না। লিখিত ভাবে প্রশ্ন এলে পরে জানাব।” বিরোধী সদস্যেরা বলতে থাকেন, যে-সব প্রশ্নের জবাব স্বরাষ্ট্র দফতরের দেওয়ার কথা, পরিষদীয় মন্ত্রী সেগুলোর উত্তর দিচ্ছেন কেন? এই নিয়ে নানা টিপ্পনীও কাটতে থাকেন বিরোধীরা। স্বরাষ্ট্র দফতর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আছে। এর পরে পার্থবাবু রাজ্যে রাজনৈতিক বন্দির পরিসংখ্যান দেন। তিনি জানান, রাজ্যে ৭৭ জন রাজনৈতিক বন্দি আছেন। তাঁদের ছাড়ার বিষয়টিও বন্দি মুক্তি কমিটির বিবেচনাধীন আছে। ওই কমিটির সুপারিশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছলে বিবেচনা করা হবে।
|
পণ্য-পরিষেবা কর নিয়ে মৌনী অমিত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান এ বারও জানাতে পারলেন না রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠকে আজ নতুন কর ব্যবস্থার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে হাজির অমিতবাবু এ ব্যাপারে রাজ্যের মতামত জানাতে চাননি। এর আগের বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, পরের বৈঠকেই নতুন সরকারের অবস্থান জানানো হবে। কমিটির নতুন চেয়ারম্যান সুশীল মোদী অবশ্য আজ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বৈঠকেই সব রাজ্যকে নিজেদের মতামত জানাতে হবে। পণ্য-পরিষেবা কর নিয়ে বাম ও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি নানা রকম আপত্তি তুলে এসেছে এত দিন। বিজেপি-র বাধা দূর করার কৌশল হিসেবে কেন্দ্র এই কমিটির দায়িত্ব দিয়েছে বিহারের অর্থমন্ত্রী সুশীল মোদীকে। কেন্দ্রের শরিক দলের অর্থমন্ত্রী অমিতবাবু এখন বিশেষ আপত্তি তুলবেন না বলেই মনে করছে অর্থ মন্ত্রক।
|
তিন মাসেই লক্ষ চাকরি, দাবি মমতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার ৯০ দিনের মধ্যে প্রায় এক লক্ষ সরকারি চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জানালেন, সরকারের প্রথম ৭৫ দিনের কাজের খতিয়ান দিয়ে বই প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। মমতা বলেন, নতুন সরকার সবে ক্ষমতায় এসেছে। তার মধ্যেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের লোকেদের জন্য ১০ হাজার চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।” এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলে ৪৬ হাজার, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরে পাঁচ হাজার করে চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় এক লক্ষ পদে নিয়োগের সরকারি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই নিয়োগ হয়ে যাবে। |
|
|
|
|
|