|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
পো হইলেন পোঁ |
বইপোকা |
পোঁ ধরা বোধকরি ইহাকেই বলে। বঙ্গীয় গ্রন্থমহলে সম্পাদকের অসচেতনতা কোন পর্যায়ে উপনীত হইয়াছে তাহা ইহাতে প্রমাণিত হয়। বিখ্যাত বিদেশি গোয়েন্দা এডগার অ্যালান পো-কে একটি বঙ্গীয় গ্রন্থ সর্বত্র দাপটের সহিত পোঁ লিখিয়া গিয়াছে। গ্রন্থটিকে তুশ্চু জ্ঞান করিয়া উপেক্ষা করা যাইত। কিন্তু তাহা সমরেশ বসু রচিত গোয়েন্দা অশোক ঠাকুর সমগ্র (অঞ্জলি পাবলিশার্স)। কিশোরদের জন্য গোয়েন্দা চরিত্র গোগোলকে সৃষ্টি করিয়াছিলেন সমরেশ, এই তথ্য যত পরিচিত, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাঁহার সৃষ্ট গোয়েন্দা অশোক ঠাকুর তত পরিচিত নহে। সেই অশোক ঠাকুরের কাহিনি-সমগ্র খণ্ডে খণ্ডে প্রকাশের উদ্যোগ তাই উপেক্ষণীয় নহে। কিন্তু তাহা কিঞ্চিৎ যত্ন সহকারে করিলে উপকার হইত। অশোক ঠাকুর সমগ্রের প্রথম খণ্ডে সম্পাদক ঝুমা রায়চৌধুরীর ভূমিকায় পো সর্বত্র পোঁ ত হইয়াছেনই তদুপরি সম্পাদক তাঁহার ভূমিকায় সংকলিত গল্পের সারাৎসার বলিয়া দিয়াছেন। মূল গ্রন্থ পড়িবার পূর্বে ভূমিকা পড়াই বিধেয়। কিন্তু এই গ্রন্থে তাহা করিলেই পড়িবার আনন্দ মাটি হইয়া গেল! গোয়েন্দা কাহিনির সারসংক্ষেপ বলিতে গিয়া অপরাধী কে তাহা প্রথমেই বলিয়া দিয়া সম্পাদক রহস্যের মজায় জল ঢালিয়া দিয়াছেন। এই প্রথম খণ্ডে মুখোমুখি ঘর, হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, দুমুখো সাপ এবং অস্বীকার অশোক ঠাকুরের চারিটি কাহিনি সংকলিত হইয়াছে। গ্রন্থগুলি পৃথক রূপে বঙ্গীয় বইপাড়ায় এখন সুদুর্লভ। অতএব এই সমগ্রকে এড়াইয়া যাইবারও উপায় নাই। সুতরাং এই সংকলনটিই ভরসা এবং তাহার ফলে পাঠকের কী দুর্গতি হইতেছে এবং হইবে তাহা সহজেই অনুমেয়। |
|
|
|
|
|