ডাকঘর

শতবর্ষ নয়, সামনে সার্ধশতবর্ষ
বিগতবিগত ১৩ অগস্ট শনিবার প্রকাশিত ‘গ্রান্টহলের শতবর্ষ’ শিরোনামে সায়ন্তন মজুমদারের লেখা চিঠিতে তথ্যগত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভ্রান্তি রয়েছে। এ কারণে পাঠকবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে এই চিঠির অবতারণা। ইতিহাস বলছে, ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রান্টহল শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। ২০১১ সালে নয়। আর মাত্র কয়েকটি বছর হলেই গ্রান্টহলের সার্ধশতবর্ষ পূর্ণ হবে। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে বহরমপুর শহরের ১৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও কতিপয় সরকারি কমর্চারী বৃটিশ শাসনের প্রতি আনুগত্য এবং প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গর্ভনর স্যার পিটার গ্রান্টের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য জনৈক যোসেফ ম্যারিয়নের কাছ থেকে ৩৮০০ টাকায় ডিম্বাকৃতি সভাগৃহ-সহ গ্রান্টহল প্রাঙ্গণ কেনেন। তার বর্তমান নাম যোগেন্দ্রনারায়ণ মিলনী। কিনতে যে অর্থ প্রয়োজন, তা সংগ্রহ করা হয় বহরমপুর শহরের নাগরিকদের কাছ থেকে। তবে ক্রয় ও গ্রান্টহল নামকরণের নির্দিষ্ট দিনটি আজ আর জানা যায় না। ওই সময় শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা গ্রান্টহলে নাগরিক সভা আহ্বান করতেন। ওই সব তথ্য জানা যায়, যোগেন্দ্রনারায়ণ মিলনীর প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে। বিভিন্ন সময় নানা গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সভা ওই সভাগৃহে হয়েছে। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে হলটি ধ্বংস হয়। সংস্কার করার মতো তহবিল না থাকায় ধ্বংসাবশেষ ওই অবস্থায় কয়েক বছর পড়েছিল। পরবর্তী কালে বিশিষ্ট রাজন্যবর্গ ও ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রান্টহলটি ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। লালগোলার মহারাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় ওই ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। এ কারণে গ্রান্টহলের নতুন নামকরণ হয় ‘যোগেন্দ্রনারায়ণ মিলনী’। সম্ভবত পত্রলেখক গ্রান্টহলের প্রতিষ্ঠা ও পুনর্নির্মাণকে এক করে ফেলেছেন। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই ওই তথ্যগুলি অতি সংক্ষেপে উপস্থাপিত করলাম। ২০০০০ টাকা নয়, গ্রান্টহল পুনর্নির্মাণে খরচ হয় ২৩৫০০ টাকা। লালগোলার মহারাজা প্রদান করেন ২০০০০ টাকা। এবং এডওয়ার্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব প্রদান করে ৩৫০০ টাকা। ১৮৯৭ সালের ভারতীয় মহাবিদ্রোহ পরবর্তী কালে বহরমপুর শহরের উত্থান, ক্রমবিকাশ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জীবনের বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে গ্রান্টহলের সঙ্গে। সেই সবের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা করা খুবই জরুরি। নতুবা, অনেক কিছুই হারিয়ে যাবে।
‘ভুল স্বীকারে’র উল্লেখ নেই
গত ৬ অগস্ট জেলা লিগের খেলা সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়। ১৭ জুলাই-এর খেলা শেষে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে ‘মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসেসিয়েশন’-এর পরিচালন সমিতির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ‘অভ্যুদয় সংঘ’-এর কর্তারা ‘ভুল স্বীকার’ করেছেন বলে শ্রীতরুণ দত্তের বক্তব্য ৬ অগস্টের খবরে প্রকাশিত হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম কর্তা তরুণবাবুর ওই বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যা এবং পরিচালন সমিতির ওই দিনের সভার পক্ষেও অবমাননাকর। পরিচালন সমিতির ওই দিনের সভার কার্যবিবরণীতে ‘ভুল স্বীকার’ করার উল্লেখ নেই। ১৭ জুলাই-এর অপ্রীতিকর ও লজ্জাজনক ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, তা নিন্দনীয় এবং তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করার অর্থ কি ভুল স্বীকার করা? আসলে তরুণবাবু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ‘অভ্যুদয় সংঘ’-এর মানহানি করেছেন। তার প্রতিবাদ জানিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Previous Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.