|
|
|
|
পরিবেশ বাঁচিয়ে তবেই উন্নয়ন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিবেশ নষ্ট করে উন্নয়নের কাজ করা হবে না, এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলিতে জলাভূমি সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জলাশয় ভরাট করে প্রোমোটিং করার অভিযোগ বারবার উঠেছে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি নির্বিচারে জলাশয় ভরাট হতে দেবেন না। প্রকৃতি নষ্ট হতে দেবেন না। বরং, সবুজ বাঁচাতে হবে, এ কথা মাথায় রেখেই এগোতে হবে বলে তিনি জানান। মমতা বলেন, “জলা বুজিয়ে প্রোমোটিং করতে করতে অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছি আমরা। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।” নাগরিকদের সবুজ বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বিশেষজ্ঞেরা বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকৃতির উপরে প্রভাব পড়বেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, সেই কাজে কোথায় থামতে হবে, তা-ও জানা উচিত নাগরিকদের। |
|
বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলিতে জলাভূমির সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র |
রাজ্য সরকারের জল সংরক্ষণ প্রকল্প নিয়েও এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বন্যার সময়ে যে জল হয়, তা ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পের কাজও চলবে।”
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে নতুন সরকারের পরিবেশ বিষয়ক পরিকল্পনার কথাও। তিনি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয়ের পাড় নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে পরিবেশবিদেরা দীর্ঘ দিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। রাজ্য সরকার যে জলাভূমিগুলির পাড় সংস্কারের কাজ করবে, সে ঘোষণাও এ দিন করা হয়।
এ দিনের অনুষ্ঠানটি ছিল বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলির দু’টি জলাভূমির সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস। কাজটি করবে ‘কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (কেএমডিএ)। প্রকল্পের প্রথম ছ’মাসে খরচ হবে ২ কোটি টাকা। জলাভূমি বাঁচানোর পাশাপাশি ইকো-ট্যুরিজমের পরিকল্পনাও রয়েছে। একই সঙ্গে এ দিন মমতা জানান, রাজারহাটে ৪৮০ একরের একটি জলাভূমি রয়েছে। সেখানে ইকো-ট্যুরিজম করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
জলাভূমির পাশাপাশি ই এম বাইপাসের রাস্তা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সত্যিই বাইপাসের অবস্থা খুব খারাপ। বাইপাসে ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের রাস্তা করা হবে বলে তিনি জানান। মমতা বলেন, “মেয়রকে বলেছি, শীঘ্রই বিষয়টি দেখতে। সম্ভব হলে পুজোর আগেই কিছুটা কাজ করে ফেলতে। তবে বর্ষার জন্য কাজে দেরি হচ্ছে।” এ ছাড়াও, ই এম বাইপাস চওড়া করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে, মমতা এ-ও জানিয়েছেন, বাইপাস চওড়া করতে গিয়ে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। প্রয়োজনে ডিভাইডার সরু করে রাস্তা চওড়া করা হবে। |
|
|
|
|
|