|
|
|
|
টুকরো খবর
|
দক্ষিণ দিনাজপুরে এনসেফ্যালাইটিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
এনসেফ্যালাইটিস ছড়াচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। দু’দিনে বংশীহারী থানার গাঙ্গুরিয়া এলাকার জ্বরে আক্রান্ত দুই বালকের মৃত্যুর পরে তা জানা যায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার আরও ১০ জন জ্বরে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ৪ জনকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে এবং একজনকে মালদহ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতদের নাম বিধান মণ্ডল (১০) ও অনুপ রায় (৯)। সোমবার অনুপের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিধান মারা যায়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মণ্ডল বলেন, “দুই বালকের মৃত্যু যে ভাইরাল এনসেফ্যালাইটিসে হয়েছে তা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা গিয়েছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে আক্রান্ত এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তদের রক্তের নমুনা কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি জানান, আক্রান্তদের হাতুড়েদের কাছে না-গিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকেও প্রচার শুরু হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, “মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম কাজ শুরু করেছে। রোগের উৎস সন্ধানে স্বাস্থ্য কর্তাদের তৎপর হতে বলা হয়েছে।”
|
বিদ্যুৎ নেই, দুর্ভোগে রোগীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
যান্ত্রিক গোলযোগে দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রইল মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে। এর ফলে এর ফলে রোগী থেকে রোগীর আত্মীয়পরিজন এবং চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মীরা সমস্যায় পড়েছেন। মুরারই ১ ব্লক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক প্রবীর মাড্ডি বলেন, “রবিবার থেকে হঠাৎই বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের সমস্ত বিভাগে জল সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে রোগী, চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মীরা চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। জল না থাকায় শৌচাগার, হাসপাতাল চত্বর অপরিচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতালে। বাধ্য হয়ে রোগীদের বাইরে থেকে জল আনতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরে বার বার বলার পরে মঙ্গলবার শুধুমাত্র আলো, পাখা চালু করতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীরা। কিন্তু পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি।” রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মুরারই গ্রুপ সাপ্লাইয়ের স্টেশন সুপারিন্টেডেন্ট শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালে যে তিনটি লাইন থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া হয় সেখানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় এই বিপত্তি। আমরা মঙ্গলবার প্রাথমিক ভাবে আলো, পাখা চালাতে সক্ষম হয়েছি। বৃষ্টির জন্য পাম্পের কাজ করা যায়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।” বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট মহকুমা বিভাগীয় আধিকারিক নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “শীঘ্রই বদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছে।”
|
গোয়ালতোড়ে আন্ত্রিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে গোয়ালতোড় ব্লকের মাকলি পঞ্চায়েতের কেশিয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথমে গ্রামের এক শিশু ও তিন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার রাতের মধ্যে অসুস্থের সংখ্যা আরও বাড়ে। মঙ্গলবার সকালেও একই রকম ভাবে গ্রামের আরও কয়েকটি পরিবারের কয়েক জন সদস্যের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসে। সব মিলিয়ে ৩০ জন অসুস্থ হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অসুস্থদের মধ্যে তিন জনকে মঙ্গলবার সকালে গোয়ালতোড় সংলগ্ন বাঁকুড়ার সারেঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে গ্রামে পৌঁছয় চার জনের একটি মেডিক্যাল টিমও। শুরু হয় চিকিৎসা। প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, দূষিত জল থেকেই রোগ ছড়িয়েছে। ব্লকের মেডিক্যাল অফিসার স্বপন মুর্মু বলেন, “গ্রামেই অসুস্থদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।”
|
স্বাস্থ্য শিবির |
‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে সম্প্রতি স্বাস্থ্য-পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। স্টেট ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর শাখা-প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই শিবিরে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী দুই শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করা হয়। |
|
|
 |
|
|