
আমাদের স্কুল
|
দেউলগ্রাম মানকুর বাকসি হাইস্কুল |
ছাত্র-ছাত্রী: ১৬০০ জন
শিক্ষক-শিক্ষিকা: ২৭ জন
গ্রন্থাগারিক: ১ জন
শিক্ষাকর্মী: ৬ জন
২০১১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৯৫ জন। সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেয় ২২০ জন। উত্তীর্ণ ৯২.৭০ শতাংশ। |
|
|

|
দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের
দিকেও নজর থাকে
আব্দুল হক
(প্রধান শিক্ষক) |
|
১৯১৯ সাল। দেউলগ্রামের বিপিনবিহারী ঘোষ, নলিনীকান্ত সেনগুপ্ত, মানকুরের পঞ্চানন সামুই, সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বাকসির বিধুভূষণ সামন্ত তিনটি গ্রামের এই পাঁচ জন শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল ‘দেউলগ্রাম মানকুর বাকসি হাইস্কুল’ পরবর্তীকালে যা ‘ডিএমবি হাইস্কুল’ নামে পরিচিত হয়। ১৯২৪ সালে স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়।
ক্রমে ক্রমে স্কুলের কলেবর বাড়ে। স্কুলে খোলা হয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি। এখানে কলা, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগে পঠন-পাঠন হয়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যম্ত ছাত্রেরা কম্পিউটার শিক্ষা পায়। স্কুলে চালু আছে পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার।
ছাত্রদের মধ্যে বেশ প্রচুর তফসিলি জাতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছাত্রেরাও আসে। চলতি শিক্ষাবর্ষেই দশম শ্রেণির প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রটি অর্থনৈতিক ভাবে খুবই পিছিয়ে পড়া পরিবারের। স্কুলের পক্ষে ওই ছাত্রের উপরে রয়েছে সার্বিক নজরদারি। এটা আমরা প্রতি ক্ষেত্রেই করি। |
 |
পঠন-পাঠনই নয়, ছাত্রেরা নিয়মিত জেলা ও রাজ্য-স্তরে কবাডি, ফুটবল, জিমন্যাস্টিকে যোগদান করে। ১৯৮০ সাল থেকে নেহরু হকি প্রতিযোগিতায় তারা খেলেছে। বিগত দু’বছর ধরে অন্তত একজন করে ছাত্র জাতীয় স্তরে হকি খেলার দলে থাকার সুযোগ পায়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাতেও ছাত্রেরা নিয়মিত যোগ দেয়।
তবে সমস্যা যে একেবারে নেই তা নয়। শিক্ষকের অভাব রয়েছে। আবেদন করেও পাওয়া যায়নি পার্শ্ব শিক্ষক। মিড ডে মিল রান্না হয় খোলা আকাশের নীচে। একটি স্কুল ভবনের তিনতলার ঘরের ছাউনি টিনের। ফলে গরমকালে বেশ কষ্ট হয়। কয়েকটি শ্রেণিকক্ষও দরকার। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে চলার চেষ্টা করছি। পরিচালন সমিতি, অভিভাবক ও গ্রামবাসীর সহায়তা এ ক্ষেত্রে আমাদের পাথেয়।
|
আমার চোখে |

শুভ সিংহ (দশম শ্রেণির প্রথম স্থানাধিকারী) |
|
স্কুল তো নয়। এ যেন আমার নিজের বাড়ি। শৈশবে বাবাকে হারিয়েছি। প্রচণ্ড আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যে আমাকে পড়াশোনা করতে হয়। কিন্তু বাড়িতে যেমন রয়েছেন আমার মা, স্কুলে আছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা আমার কাছে অভিভাবকের মতোই। ফলে পঠন-পাঠন চালাতে আমাকে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি। স্কুলে কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেমন অনেক শ্রেণিকক্ষে পাখা নেই। উপযুক্ত সংখ্যায় শ্রেণিকক্ষের অভাব আছে। তবুও একটা কথা জোর দিয়ে বলতে পারি এই সব অসুবিধা সত্ত্বেও এক দিন স্কুলে না-এলে বেশ মন খারাপ হয়ে যায়। স্কুলের আকর্ষণ আমার কাছে অপ্রতিরোধ্য। |
|