|
|
|
|
মাধমিকে খাতা দেখায় ভুল কবুল, পুনর্মূল্যায়নে পাশ ২৪৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সংখ্যা আরও ২৪৩ জন বাড়ল। রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়ন এবং স্ক্রুটিনির ফলেই এটা হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম দফাতেই উত্তরপত্রের মূল্যায়নে যে ত্রুটি থেকে গিয়েছিল, তা পরিষ্কার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের শীর্ষ কর্তা মঙ্গলবার সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন। গত ২৭ মে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশ করেছিল সাত লক্ষ ৮৫ হাজার ২৬৬ জন। এ দিন মাধ্যমিকের রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশের পরে নম্বর বাড়ায় আরও ২৪৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হল উত্তীর্ণের তালিকায়। পাশ করা এই পড়ুয়াদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এ দিন রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, এ বার যারা আবেদন করেছিল, তাদের মধ্যে ৪৫২৬ জনের নম্বর বেড়েছে। এর ফলে ২৪৩ জন পড়ুয়া পাশ করেছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের ত্রুটিই যে এর জন্য দায়ী, তা স্বীকার করে পর্ষদ-সভাপতি বলেন, “মনোযোগ দিয়ে খাতা দেখার জন্য পরীক্ষকদের বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।”
মাধ্যমিকে ফেল করা ছাত্রছাত্রীরাই রিভিউয়ের জন্য আবেদন করতে পারে। অন্য দিকে, পাশ ও ফেল করা সব ছাত্রছাত্রী সব বিষয়ের স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করতে পারে। পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, রিভিউয়ের জন্য আবেদনকারী ১১ হাজার ৭৮৬ জনের মধ্যে ১৬২৬ জনের নম্বর বেড়েছে। নম্বর বেড়েছে স্ক্রুটিনির জন্য আবেদনকারী ২২ হাজার ৭৩৪ জনের মধ্যে ২৯০০ জনের। যাদের ফল পরিবর্তিত হয়েছে, সেই সব ছাত্রছাত্রীকে আজ, বুধবার থেকে কাল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজের নিজের স্কুলে পুরনো মার্কশিট জমা দিতে বলা হয়েছে। দু’-এক দিনের মধ্যেই নতুন মার্কশিট দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পর্ষদ-সভাপতি।
পুনর্মূলায়নের ফলে যে-২৪৩ জন পাশ করেছে, তাদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে বলে এ দিন জানান উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পর্ষদের থেকে প্রস্তাব পেলেই ওদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। এই পড়ুয়ারা কোন কোন এলাকার এবং কোন কোন স্কুলে তারা ভর্তি হতে চায়, তা বিবেচনা করে দেখা হবে।”
|
মমতার ইচ্ছা, প্রাথমিকে তাই ফের ব্রতচারী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ইচ্ছা’ অনুসারে প্রাথমিকে ফের ব্রতচারী শিক্ষা চালু করার নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিভিন্ন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের কাছে মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ে, ১৯৩২ সালে ব্রতচারী আন্দোলনের সূচনা করেন গুরুসদয় দত্ত। দীর্ঘদিন রাজ্যের স্কুলগুলিতে ওই বিষয়ে ক্লাসও হয়েছে। আশির দশকের গোড়া পর্যন্ত ব্রতচারী ছড়া পড়ানো হত। তার পরে এই বিষয়ের পঠনপাঠন ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর। পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “২০০৪ সালে তৎকালীন সরকার ব্রতচারী চালু করার কথা বলেছিল। কিন্তু তা হয়নি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফের তা চালু করার নির্দেশ জারি হল।” |
|
|
 |
|
|