|
|
|
|
সিপিএমের তিন প্রধান, ১ উপপ্রধানের ইস্তফা গৃহীত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করতে চাওয়া বিষ্ণুপুর ব্লকের সিপিএম পরিচালিত তিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং এক উপপ্রধানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন বিষ্ণুপুরের বিডিও। একই সঙ্গে গ্রহণ করা হল বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতের আরও চার সদস্যের পদত্যাগপত্র। পদত্যাগীরা হলেন, অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল চট্টোপাধ্যায়, লায়েকবাঁধ পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পণ্ডিত, বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতেরে প্রধান কালিমোল্লা চৌধুরী এবং রাধানগরের উপপ্রধান নকুল দে।
বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা মঙ্গলবার বলেন, “এ দিন শুনানিতে পদত্যাগকারীদের ডাকা হয়েছিল। দু’জন প্রধান, এক জন উপপ্রধান ও চার সদস্য উপস্থিত হননি। এসেছিলেন শুধু মাত্র অযোধ্যার প্রধান গোপাল চট্টোপাধ্যায়। তিনিও পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে চাননি। তাই সকলের পদত্যাগপত্রই গৃহীত হয়েছে।” তিনি জানান, ১২ সদস্যের বেলশুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও সাত জন সদস্য রয়েছেন। সেখানে শীঘ্রই প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা হবে। কারণ, বেলশুলিয়ার উপপ্রধানের ইস্তফাপত্র ইতিপূর্বেই গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য দুই পঞ্চায়েতেও প্রধান নির্বাচনের কাজ দ্রুত করা হবে। পদত্যাগকারীরা এ দিনও বলেন, ‘‘শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত কারণেই ইস্তফা দিয়েছি।” যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র বলেন, “সবাই তো এক সঙ্গে অসুস্থ হতে পারেন না!” তাঁর অভিযোগ, “ওঁদের কাজ করতে বারবার বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে তাঁরা সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “মিথ্যা অভিযোগ। মানুষ সিপিএমের পাশ থেকে সরে গিয়েছেন বলে ওই দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজে থেকেই সরে যাচ্ছেন। আমাদের দলের কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানালে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
অন্য দিকে, রাধানগর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, সিপিএমের নকুল দে-র বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন ওই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এ দিন সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেসের হারাধন বাগদিকে উপপ্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে বলে বিডিও জানিয়েছেন। |
|
|
 |
|
|