|
|
|
|
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সিমলাপালের সমবায় নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিমলাপাল |
সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের মাচাতোড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ঘটনা। রবিবার ওই সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির ৯টি আসনের নির্বাচন ছিল। তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তা সত্ত্বেও সিপিএমের প্রার্থী ও দলের বিপক্ষ গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে তৃণমূলের ‘আনুষ্ঠানিক প্যানেলের’ ৯ জন প্রার্থীই জয়ী হন। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পরে সিপিএমের হাতছাড়া হয় মাচাতোড়া সমবায় সমিতি।
সিপিএম বিরোধীরা এতদিন ওই সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারেননি। ফলে বিনা প্রাতিদ্বন্দ্বিতায় সিপিএম ক্ষমতাসীন ছিল। এবারই প্রথম এই সমবায়ে নির্বাচন হয়। ফলে এ দিন এই নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় প্রবল কৌতূহল ছিল। তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী প্রার্থী দেওয়ায় কৌতূহলের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের ‘আনুষ্ঠানিক গোষ্ঠী’র ৯ জন প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠী ৮ জন প্রার্থীর নাম দিয়েছিল। সিপিএমের ছিলেন ৯ জন প্রার্থী। তৃণমূলের জেলা নেতা দিলীপ পণ্ডার দাবি, “দলেরই বিক্ষুদ্ধদের একাংশের নেতা তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অশোক ষন্নিগ্রহী তাঁর পছন্দের ৮ জনকে প্রার্থী করেছিলেন। আমরা ত্রিমুখী লড়াই করে ৯টি আসনেই জয়ী হয়েছি।” তৃণমূল নেতা অশোকবাবু পাল্টা বলেন, “কোনও দলের প্রতীকে সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়নি। দলের বিক্ষুদ্ধ অংশের প্রতিনিধি হিসেবে কেউ ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলে আমার জানা নেই। আমি বিক্ষুদ্ধ নই। দলের ক্ষতি করার মানসিকতা নেই।” তাঁর দাবি, “স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে। যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন তাঁরাই আসলে বিক্ষুদ্ধ।”
সমবায় সমিতির ম্যানেজার মৃণালকান্তি সিংহবাবু বলেন, “পরিচালন কমিটির প্রতিনিধি নির্বাচনে তিনটি প্যানেলের মোট ২৬ জন প্রতিনিধি ছিলেন। একটি প্যানেলের ৯ জনই জয়ী হয়েছেন। মোট সদস্য সংখ্য ৭২৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৬৩২ জন সদস্য ভোটদান করেছেন।
এই জয়ের পরে যথেষ্টই উল্লসিত তৃণমূলের সিমলাপাল ব্লক সভাপতি সনৎ দাস। তাঁর মন্তব্য, “ওই সমবায় সমিতির ভোটে আমাদের দল স্বীকৃত প্যানেলের ৯ জন লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। এতদিন গায়ের জোরে এই সমবায় সমিতির দখল করে রেখেছিল সিপিএম। এ বার প্রথম ভোট দিতে পেরে সদস্যরা সিপিএমকে যোগ্য জবাব দিয়েছেন।” এ প্রসঙ্গে সিপিএমের সিমলাপাল জোনাল কমিটির সদস্য সুবীর পাত্রের বক্তব্য, “আলোচনার মাধ্যমে ওই সমবায় সমিতির সদস্যরা এতদিন পরিচালন কমিটির গঠন করতেন। আমরা জোর করে কিছু করিনি। আমাদের মনোনীত প্রার্থীরা কেন পরাজিত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।” |
|
|
 |
|
|