|
|
|
|
‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন স্মরণে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও হলদিয়া |
১৯৪২ সালের ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন স্মরণে মঙ্গলবার বিভিন্ন অনুষ্ঠান হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। এ দিন মূলত জেলাসদর তমলুক শহর ও মহিষাদলে নানা কর্মসূচি নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলি। মহিষাদল রাজ ময়দানে এই উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করেছিল জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস। বিকেলের ওই সমাবেশে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক মিলে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি তথা তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পরিবেশ মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার-সহ দলের নেতারা। |
 |
সুভাষ সামন্তকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
সভায় শুভেন্দু স্বীকার করেন, “দলের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। আমরা এ সব বরদাস্ত করব না।” সুর আর এক ধাপ চড়িয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেন, “দলে অনেকে কেউকেটা হয়ে গিয়েছে। সুবিধা নেওয়ার দিকে ঝোঁক বাড়ছে। কারণ ছাড়াই তৃণমূলের পতাকা কাঁধে নিয়ে আন্দোলন করছে। এ সব মেনে নেওয়া হবে না।” মুকুল রায় বলেন, “দম্ভ নয়, হিংসা নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা চাইছেন, সাধারণ মানুষ এই সরকারকে নিজেদের সরকার বলে মনে করুক। সেই লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে আমাদের।” সভায় স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়া, সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যাদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংবর্ধনা দেওয়া হয় স্বাধীনতা সংগ্রামে সুশীল ধাড়ার সঙ্গী অশীতিপর সুভাষ সামন্তকে। আগামী ১১ অগস্ট ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষে জন্মভিটে কেশপুরের মোহবনিতে স্মরণসভা করা হবে বলে জানান শুভেন্দু। মঙ্গলবার সকালে তমলুক পুরভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। ছিল রক্তদান শিবিরের আয়োজনও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি-সহ পুরপ্রতিনিধি ও পুরসভার কর্মীরা। জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এ দিন দলীয় অফিস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান হয়। |
|
|
 |
|
|