|
|
|
|
বন্যার ভয় নেই এখনই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মঙ্গলবার আর ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পরিস্থিতি বিশেষ জটিল হয়নি। তবে গত ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে কয়েকটি এলাকায় জল জমেছে। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, অবস্থা এখনও স্বাভাবিক। ভারী বৃষ্টি না-হলে উদ্বেগের কিছু নেই। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকার বিডিওদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। নদীর জলও বিপদসীমার নীচে রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে ঘাটাল ও খড়গপুরের মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক। ওই দুই মহকুমার বিভিন্ন এলাকা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই মহকুমাশাসকই তাঁদের প্রাথমিক রিপোর্টে জানান, নদীর জল বাড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিকই রয়েছে। এখনই উদ্বেগের কিছু নেই।
ভারী বৃষ্টি না-হলেও মঙ্গলবারও দিনভর আকাশ মেঘলাই ছিল। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। পথচলতি মানুষ কাকভেজা হয়েই গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। মেদিনীপুর কলেজের এন সি রানা আকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে খবর, এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ম ২৫। সন্ধে পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৫ মিলিমিটার। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের অধিকর্তা সত্যব্রত রায় বলেন, “বৃষ্টি আপাতত বন্ধ হবে না। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।” এই সম্ভাবনার কথা জেনেই বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে জেলা প্রশাসন। বন্যাপ্রবণ এলাকায় জল বাড়লে যাতে তড়িঘড়ি স্থানীয়দের সরানো যায়, দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করা যায়, সে-সব দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ত্রিপল মজুত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক-টানা বৃষ্টির জেরে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনার কয়েকটি এলাকায় জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। একাধিক চাতালেও জল জমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। মঙ্গলবার সকালে ক্ষীরপাই সংলগ্ন মনসাতলা চাতালের উপর (ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কে) এক হাঁটুর বেশি জল জমে যায়। বিকেল থেকে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘাটাল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলমগ্ন হয়েছে ঘাটাল শহরের ১২টি ওয়ার্ডের কিছু কিছু অংশও। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারীর বক্তব্য, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে বৃষ্টি বন্ধ না-হলে এবং জলাধার থেকে ফের জল ছাড়া হলে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।”
তবে গত ক’দিনের বৃষ্টিতে চাষিরা খুশি। জুনে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেও জুলাই মাসে কম বৃষ্টি হয়। ফলে মরসুমের শুরুতেই খরিফ চাষ মার খায়। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলের অভাবে বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। ক’দিনের বৃষ্টিতে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পর্যাপ্ত জল পেয়ে নতুন করে চাষের কাজ শুরু হয়েছে। |
|
|
 |
|
|