টুকরো খবর

স্টিফেন কোর্টে দমকলের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রীর
স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘জাম্পিং কুশন’ বা জাল কেন ব্যবহার হয়নি, তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। এ নিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর এক প্রস্ত কথাও হয়েছে। এ দিন দমকলমন্ত্রী বলেন, “স্টিফেন কোর্টের ঘটনায় জাম্পিং কুশন বা জাল ব্যবহার করা হয়নি। দমকলবাহিনীর কাছে চার-চারটি জাল ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন সেগুলি ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কার গাফিলতি ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।” সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে ২৩ লক্ষ টাকা খরচ করে চারটি জাম্পিং কুশন কেনে দমকল। ২০১০-এর ২৩ মার্চ স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার ঘটনায় বারবার চাওয়া সত্ত্বেও ওই কুশন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়নি। এর ফলে ওই ভবনের সিঁড়িতে আগুন লাগার পরে কয়েক জন প্রাণে বাঁচতে উপর থেকে লাফ দেন। এর ফলে এক জনের মৃত্যু হয়। অনেকে ভিতরেই অগ্নিদগ্ধ ও দমবন্ধ হয়ে মারা যান। দমকলকর্মীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, জাম্পিং কুশন বা জাল থাকলে স্টিফেন কোর্টের বেশ কয়েক জনকে বাঁচানো সম্ভব হত। দমকলের সদর দফতরের এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও কেন স্টিফেন কোর্টে জাম্পিং কুশনগুলি আনা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দমকলকর্মীরা। এ দিন মহাকরণে দমকল-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী জানতে চান কুশনগুলি কোথায় আছে? জরুরি প্রয়োজনে কেন এগুলি ব্যবহার করা হয় না? এর পর তিনি বিভাগীয় সচিব ইন্দিবর পাণ্ডেকে চেয়ারম্যান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির রিপোর্ট দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন দমকলমন্ত্রী। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। এ ছাড়াও এ দিন ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দরজা ও দেওয়াল ভাঙার যন্ত্রপাতি, তাপ-নিরোধক পোশাক, শ্বাস নেওয়ার যন্ত্র, জেনারেটর ইত্যাদি সরঞ্জাম কেনা হবে। খরচ হবে ৩৭ কোটি টাকা।

স্মার্ট কার্ডে টাকা ভরা নিয়ে নয়া সমস্যা মেট্রোয়
মাত্র ন’দিন আগে মেট্রো রেলে চালু হয়েছে নতুন স্মার্ট কার্ড। কিন্তু নতুন কার্ডের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পরে গত তিন-চার দিনে কার্ড ‘রিচার্জ’ করতে গিয়েছিলেন যে সব যাত্রীরা, কাউন্টারে তাঁদের বলে দেওয়া হয় রিচার্জ হবে না। প্রতি যাত্রার জন্য টোকেন কিনতে হবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার প্রথম স্বীকার করেন, রিচার্জ ব্যবস্থা নিয়ে ‘কিছু সমস্যা’ হয়েছিল। তবে এ দিন থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে অন্তত একটি করে কাউন্টারে রিচার্জ ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। মেট্রোর মুখপাত্র প্রত্যুষ ঘোষের দাবি, আজ, বুধবার থেকে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নতুন প্রযুক্তির কার্ড, গেট ও সফ্টওয়্যার চালু করার পরে সাত দিন যেতে না যেতেই কেন আংশিক ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল এই পরিষেবা? মেট্রোকর্তারা দোষ চাপাচ্ছেন ‘ক্রিস’ সংস্থার উপরে। কারণ, তাদেরই প্রযুক্তিতে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রিচার্জের ব্যবস্থা সফ্টওয়্যারে গোড়া থেকেই রাখা ছিল। কিন্তু ক্রিস তার কিছু জরুরি পরিবর্তনের প্রয়োজন বোধ করাতেই এই বিপত্তি। সফ্টওয়্যারে বদল আনতে গিয়ে মাঝখানে কয়েকটা দিন এই পরিষেবা দেওয়া যায়নি কোথাও। প্রথম থেকেই যাত্রীদের অভিযোগ ছিল স্মার্ট কার্ডের মেয়াদের কড়াকড়ি নিয়ে। যাত্রীদের প্রশ্ন, সকলেই যে নিয়মিত দু’বেলা কার্ড নিয়ে যাতায়াত করেন, এমন নয়। অথচ কার্ডের মেয়াদ সীমিত। ফলে কার্ডে অনেক টাকা থেকে যাওয়া সত্ত্বেও তা লোকসান হয় স্রেফ মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে। অনেকেরই আশা ছিল, পুরনো কার্ড বাতিল করে নতুন কার্ড চালু করার সময়ে এই ত্রুটি শুধরে নিয়ে রিচার্জের মেয়াদ বাড়িয়ে দেবে মেট্রো। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। মেয়াদ ফুরোলে পড়ে-থাকা টাকা আগের মতোই বাজেয়াপ্ত করে নিচ্ছে মেট্রো।

প্রেসিডেন্সির হাত ধরতে চায় ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয়
আগেও প্রেসিডেন্সির সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা-সমঝোতা হয়েছে। এ বার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চাইছে ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয় সিঁয়স পো। আপাতত ওই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব, দু’টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছাত্রছাত্রী আদানপ্রদান শুরু হোক। এই নিয়ে কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে মঙ্গলবার জানান প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অমিতা চট্টোপাধ্যায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ফলিত অর্থনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি সমাজবিজ্ঞানের বিষয়ে প্রেসিডেন্সির সঙ্গে চুক্তি করতে চায় প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ দেশের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, সেন্ট স্টিফেনস কলেজ ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিঁয়স পো-র ছাত্র বিনিময় কর্মসূচি রয়েছে। ওই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল প্রতিনিধি মঙ্গলবার অমিতাদেবীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে ওই দলের সদস্য জিল ভার্নিয়ের বলেন, “ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের বিচারে তাই প্রেসিডেন্সিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।” সেপ্টেম্বরে ফের প্রেসিডেন্সিতে আসবেন সিঁয়স পো-র প্রতিনিধিরা। সেই সময় সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হবে। অমিতাদেবী বলেন, “সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলির ব্যাপারে সাধারণত এই ধরনের প্রস্তাব আসে না। সে-দিক থেকে এই প্রস্তাব অভিনব। তা ছাড়া ওই ফরাসি প্রতিষ্ঠানের স্কলারশিপের সংখ্যাও খুব বেশি। এখানকার ছাত্রছাত্রীরা ওই দেশে পড়াশোনা করতে গেলে সিঁয়স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কম খরচে তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করার আশ্বাসও দিয়েছেন ওই প্রতিনিধিরা।”

রেলের কাছে এ বার ক্ষতিপূরণ চাইবে ট্রাম
সরকারি ভর্তুকি সরে গেলে কী ভাবে টিকে থাকা যাবে, তার উপায় বার করতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিল কলকাতা ট্রাম কোম্পানি (সিটিসি)-র নতুন পরিচালন পর্ষদ। কিন্তু সেখানে কোনও দিশা মিলল না। আপাতত স্থির হয়েছে, নতুন রেল প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ট্রাম-রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংস্থার যে লোকসান হচ্ছে, রেলের কাছে তার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। সেই টাকা দিয়েই কোনও মতে ট্রামকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন সিটিসি-কর্তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে জোকা-বেহালা মেট্রোর কাজ শুরু হয়েছে। যার জন্য ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে তুলে ফেলা হয়েছে ট্রামলাইন। সিটিসি-র হিসেবে, ওই রুটে ট্রাম বন্ধ হওয়ায় টিকিট বিক্রিতে দৈনিক ১৫ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এ বাবদ রেলের কাছে এককালীন ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটিসি। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণের দায়িত্ব প্রাথমিক ভাবে রেলকেই দেওয়া হবে। রেলের আর একটি প্রকল্পের জন্য রবীন্দ্র সরণিতেও ট্রাম-পরিষেবা বন্ধ আছে। সে বাবদ রেলের কাছে ৮৩ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা দাবি করবে ট্রাম কোম্পানি।

জমা জল নামাতে
পুরনো কলকাতার অধিকাংশ এলাকা থেকে বৃষ্টির জমা জল নামলেও শহরের উত্তরাংশের বেশ কিছু রাস্তা মঙ্গলবারও ছিল জলমগ্ন। জল দাঁড়িয়ে ঢালিপাড়া, মিশনপাড়া-সহ ১২২ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেহালার কিছু অংশেও। বৃষ্টির জমা জল দ্রুত নামানোর ব্যবস্থা করতে এ দিন পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের জরুরি বৈঠক হয়। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) রাজীব দেব জানান, অধিকাংশ এলাকার জল দ্রুত নামলেও নিকাশির কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে উত্তরাংশে বিশেষত এক নম্বর বরো এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে এবং বেহালায়। এ দিন বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারদের ওই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের নিকাশি খাল সংস্কারের কাজ না এগোনোর অভিযোগে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুরসভার নিকাশি দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, শীঘ্রই সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে।

গ্রিন পুলিশ
সল্টলেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্লকগুলিতে নজরদারি চালাতে ২০০ ‘গ্রিন পুলিশ’ নিয়োগ করতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। মঙ্গলবার কাউন্সিলরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে নজরদারির কাজে সাহায্য করবেন এই কর্মীরা। চেয়ারম্যান পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায় জানান, এই কর্মীদের পুলিশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্লকের মোড়ে মোড়ে নজরদারি করে সংগৃহীত তথ্য তাঁরা পুলিশ প্রশাসনকে জানাবেন। উল্লেখ্য, এর আগে বিধাননগর পুরসভা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেও তা চালু হয়নি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.