|
|
|
|
মেডিক্যালে সব লিফ্ট অচল, তুঙ্গে ভোগান্তি |
অনুপ চট্টোপাধ্যায় • কলকাতা |
পুরো ছ’তলা বাড়িটায় মোট চারটে লিফ্ট। এবং চারটেই খারাপ!
সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘গ্রিন বিল্ডিং’-এর এই বেহাল দশায় চরম বিপাকে পড়েন অস্ত্রোপচারের রোগীরা। অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে উঠতে গিয়ে অনেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালের সুপার সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, “আজ বিকেলে খবর পেলাম, এক সঙ্গে সব ক’টা লিফ্ট বিকল হয়েছে! পূর্ত বিভাগকে বলা হয়েছে তাড়াতাড়ি সারিয়ে ফেলতে।”
কিন্তু লিফ্ট কখন সচল হবে, তার কোনও ইঙ্গিত এ দিন রাত পর্যন্ত মেলেনি। এক চিকিৎসকের অভিযোগ, “রবিবার দুপুরেই লিফ্টগুলো বসে গিয়েছিল। ছুটির দিন বলে কেউ গুরুত্ব দেয়নি।” দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল) সৌম্য মাইতির বক্তব্য, তিনি বিভ্রাটের খবর পেয়েছেন এ দিন সকালে।
আসল ঘটনা যা-ই হোক না কেন, এতে হাসপাতাল ও পূর্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতিটাই প্রকট হয়েছে। দিনভর তারই খেসারত দিয়ে গেলেন রোগীরা। গ্রিন বিল্ডিংয়ে অস্থি, শল্য, চর্ম-সহ বেশ ক’টি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। আউটডোরে ভিড় না-থাকলেও ভর্তি কিছু রোগীর অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। তিন, চার কিংবা পাঁচতলার ওটি-তে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে অনেকের অবস্থা হয় শোচনীয়। এক রোগীর ভাই সমরেশ মজুমদার বলেন, “কত কষ্টে দাদাকে পাঁচতলায় তুলেছি, ঈশ্বরই জানেন!” আমলা জয়া দাশগুপ্তকেও দেখা গেল মেয়েকে নিয়ে হেঁটে পাঁচতলায় উঠছেন। এসেছিলেন মেয়ের হাতের চোট দেখাতে। পথ্য বোঝাই ড্রার্ম ওয়ার্ডে পৌঁছতে কিংবা অপারেশনের সরঞ্জাম আনা-নেওয়া করতেও বিস্তর অসুবিধে হয়।
এই বিভ্রাটের কারণ কী?
সৌম্যবাবুর ব্যাখ্যা, “বৃষ্টিতে কেব্ল ফল্টের জন্য তিনটে লিফ্ট খারাপ হয়ে গিয়েছে। একটা আগেই বন্ধ ছিল। সকাল ন’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত অপারেশন চলাকালীন রোগীদের অসুবিধা হয়েছে। তবে আমাদের লোকজন কাজ করছে।” যদিও কখন লিফ্ট চালু হবে, তার কোনও আভাস তিনি দিতে পারেননি। হাসপাতাল-সূত্রের আশঙ্কা, আজ মঙ্গলবার ভরা কাজের দিনেও লিফ্ট বিকল থাকলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াবে। |
|
|
|
|
|