গাফিলতিতে মৃত রোগী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সোমবার ওই নার্সিংহোমে এক বালকের মৃত্যুকে ঘিরে ওই অভিযোগ উঠেছে। মৃত বালকের নাম নেহাল ছেত্রী (৫)। বাড়ি চালসায়। গত ৪ অগস্ট তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। এ দিন ওই বালকের মৃত্যু হলে বাড়ির লোক চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুললে গোলমাল বাঁধে। পরিবারের লোকদের অভিযোগ, জ্বরে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসক জানান, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে নেহাল। শনিবার রক্তের নমুনা দিয়ে ‘এ’ পজিটিভ বিভাগের রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে আনতে বলেন চিকিৎসক। ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে সেখান থেকে জানানো হয় রক্তের বিভাগ ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। নার্সিংহোমের চিকিৎসককে তা জানালে তিনি ফের খতিয়ে দেখে ‘এবি’ পজিটিভ বিভাগের রক্ত আনতে বলেন। রবিবার নেহালকে রক্ত দেওয়ার পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সে মারা যায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। ভুল চিকিৎসায় নেহালের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ নেহালের বাবা রূপেশবাবুর। ঘটনার কথা জানতে পেরে নার্সিংহোমে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। পরে মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে চিকিৎসক সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি। বিধায়ক রুদ্রনাথবাবু এ দিন বলেন, “রোগীর পরিবারকে ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছিল বলে তারা অভিযোগ করেছেন। অথচ কী কী চিকিৎসা করা হচ্ছিল তার তথ্য ওই বালকের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিতে ছিল না। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে।” তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে তিনি রিপোর্ট দেবেন বলে জানানো হয়েছে। নেহালের বাবা রূপেশবাবু চালসায় একটি চা বাগানে কাজ করেন। তিনি সিপিআই নিয়ন্ত্রিত সিনকোনা প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্য। সংগঠনের সদস্যরা রূপেসবাবু পাশে দাঁড়িয়েছে। সংগঠনের কর্মী কাশীনাথ মজুমদার বলেন, “রূপেশবাবুর ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে সংগঠন থেকে কয়েকজন নার্সিংহোমে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন নেহাল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। তার জন্য যে বিভাগের রক্ত আনতে বলা হয়েছিল তা ভুল বলে জানা গিয়েছে। ভুল চিকিৎসা হচ্ছিল বলেই আমাদের সন্দেহ। বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভা স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথবাবুকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
|
বার্ন ইউনিট চালু আসানসোলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
মহকুমা হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও স্ট্রেচারে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ঢালু সিঁড়ির (র্যাম্প) উদ্বোধন করেন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা তন্ময় মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শ্যামল সান্যাল জানান, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের তহবিল থেকে দু’লক্ষ এবং রোগী কল্যাণ সমিতির দেড় লক্ষ টাকায় বার্ন ইউনিট হয়েছে। র্যাম্প নির্মাণে ১৭ লক্ষ টাকা পূর্ত বিভাগের মাধ্যমে দিয়েছে রাজ্য সরকার। |
|