|
|
|
|
পুরুলিয়ায় দুই গ্রামের ৮টি বাড়িতে ডাকাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
একই রাতে ঝালদা ও জয়পুর থানার দু’টি গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে প্রথম ঘটনাটি ঘটে জয়পুর থানার সিংখাখড়া গ্রামে। প্রায় একই সময়ে ডাকাতি হয়েছে ঝালদা থানার চপদ গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি গ্রামের ৮টি বাড়িতে হানা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ২০-২৫ জনের ডাকাতদল হানা দেয় ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া সিংখাখড়া গ্রামে। সেখানে একই পরিবারের পাঁচটি বাড়িতে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা। যাঁদের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তিরাম মাহাতো। তিনি বলেন, “মাওবাদী পরিচয় দিয়ে ডাকাতরা আমাদের কাছে খাবার চায়। সদর দরজা খুলতেই কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে বাড়ির সবাইকে এক জায়গায় আটকে রেখে লুঠপাট চালায়। পালানোর সময় সদর দরজায় বাইরে থেকে শিকলও তুলে দেয়।” তাঁর অভিযোগ, রাতেই জয়পুর থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ এসেছেন সোমবার সকালে।
রবিবারই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ একদল ডাকাত হানা দেয় ঝালদার তুলিন পঞ্চায়েতের চপদ গ্রামে। প্রথমেই ওই পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান কেশরী মাহাতোর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। কেশরীদেবী অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্বামী, পেশায় রেশন ডিলার কৃত্তিবাস মাহাতোর কথায়, “দুষ্কৃতীরা দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকেই বন্দুক দেখিয়ে আলমারির চাবি চেয়েছিল। কিন্তু স্ত্রী চাবি নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় চাবি দিতে পারিনি। তখন লোহার রড দিয়ে আমাদের মারধর করে আলমারি, বাক্স ভেঙে সোনা, রুপোর গয়না, বাসনপত্র লুঠ করে পালায়।” পরে গ্রামেরই আরও তিন বাসিন্দার বাড়িতে ডাকাতি করে ওই দুষ্কৃতীদল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নগেন মাহাতো বলেন, “আগে গ্রামে পুলিশ ফাঁড়ি ছিল। সেটি উঠে গিয়েছে। আমরা ফাঁড়িটি ফের বসানোর দাবি করেছি।” |
|
|
|
|
|