|
|
|
|
আশ্বাস জেলা প্রশাসনের |
নদীতে জল বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতি নেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে। সোমবার দিনভরই জেলা জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। এক টানা বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনও কোথাও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়নি বলেই জেলা প্রশাসনের বক্তব্য। নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের অবশ্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “কোথাও বন্যা পরিস্থিতির খবর নেই। তবে টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।” প্রশাসনেরই এক সূত্রে খবর, পাঞ্চেত ও ডিভিসি জলাধার থেকে কিছু পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। তবে তাতে অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
প্রশাসন এ কথা বললেও নদী-সংলগ্ন এলাকার মানুষ কিন্তু উদ্বেগে রয়েছেন। জুনে প্রথম বর্ষাতেই বানভাসি হওয়ার আতঙ্ক এখনও ভোলেননি মানুষ। মাত্র তিন দিনের বৃষ্টিতেই জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রবিবার জেলায় সব মিলিয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে মেদিনীপুর কলেজের এন সি রানা আকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে খবর। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৩২ মিলিমিটার। আপাতত আরও কয়েক দিন বৃষ্টি চলবে বলেই ধারণা। পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্রের অধিকর্তা সত্যব্রত রায় বলেন, “এখন আকাশ মেঘলাই থাকবে। আপাতত কয়েক দিন বৃষ্টি চলতে পারে।” মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার ফলেই এই পরিস্থিতি। তবে একটানা বৃষ্টিতে নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষ বন্যার ভয় পেলেও কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ঝাড়গ্রাম, শালবনি থেকে শুরু করে ঘাটাল, খড়গপুর--সর্বত্রই একই ছবি। পর্যাপ্ত জলের অভাবে এ বারও খরিফ চাষ মার খেতে বসেছিল। জুনে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও জুলাইয়ে তেমন বৃষ্টিই হয়নি। ফলে এ বারও চাষের শুরুতেই কৃষকদের মুখ থেকে হাসি উধাও হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আর ক’দিন এই ভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে জুলাইয়ের অভাব পূরণ করে দেবে অগস্টের অতিরিক্তি বৃষ্টি। এর ফলে চাষের কাজে সুবিধে হবে। |
|
|
|
|
|