পর পর তিনটি চুরির জেরে ত্রস্ত খড়্গপুর
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পর পর তিনটি চুরির ঘটনায় ত্রাস ছড়াল রেলশহর খড়গপুরে।
শহরের মালঞ্চ এলাকায় তালা ভেঙে দু’টি বাড়িতে ঢুকে মোবাইল, নগদ অর্থ, কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গহনা লুঠ করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অন্য দিকে, গেট বাজার এলাকাতেও একটি গোডাউনে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেয়েই অবশ্য ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মালঞ্চ-র ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরেজ খালেদের বক্তব্য, “তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। শহরে পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, “শহরবাসীর উদ্বেগের কিছু নেই। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” সূত্রের খবর, মালঞ্চ-র ঘটনায় একটি দুষ্টচক্রের হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
লন্ডভন্ড রতন পণ্ডিতের বাড়ি। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
এক সময়ে রেলশহর খড়গপুরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় লেগেই থাকত। প্রকাশ্য দিবালোকেও দাপিয়ে বেড়াত দুষ্কৃতীরা। এখন অবশ্য ততটা খারাপ পরিস্থিতি নেই। তবে মাঝেমধ্যে চুরির ঘটনা ঘটছে। ইদানীং তা বাড়ছেও। যা থেকেই ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে, ফের দুষ্টচক্র সক্রিয় হচ্ছে রেলশহরে। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় শহরের মালঞ্চ এলাকার গুড়িপুকুরের একটি বাড়িতে প্রথম চুরির ঘটনাটি ঘটে। বিকেলের দিকে নিমাইপদ ধর স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ফিরে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকেই চমকে ওঠেন। দেখেন, আলমারি খোলা। সব জিনিসপত্রই তছনছ হয়ে রয়েছে। তিন যুবক পিছনের দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দারা আসেন। স্থানীয়দের হাতেই ধরা পড়ে যায় বসির মল্লিক নামে এক যুবক। বাকি দুই দুষ্কৃতী অবশ্য চম্পট দেয়। পরে বসিরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বসিরের বাড়ি শহরের দেবলপুর এলাকায়। সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই দেবলপুরের এই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্টচক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েক জনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
রবিবার রাতে মালঞ্চ এলাকারই বিবেকানন্দপল্লির একটি বাড়িতেও বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, রতন পণ্ডিত নামে অবসরপ্রাপ্ত এক রেলকর্মী সপরিবার গত শনিবার কলকাতায় যান। রাতে থাকার জন্য পরিচিত এক জনকে বাড়ির চাবি দিয়ে যান। পরিচিত ওই ব্যক্তি রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ রয়েছে। তিনি বিষয়টি ফোনে রতনবাবুকেও জানান। সোমবার সকালে বাড়িতে ঢুকে রতনবাবু দেখেন, আলমারি থেকে নগদ অর্থ, সোনার গহনা সব খোওয়া গিয়েছে। আলমারিতে নগদ দেড় লক্ষ টাকা, সঙ্গে প্রায় ২০ ভরি সোনার গহনা ছিল বলে দাবি রতনবাবুর। রবিবার রাতেই ফের গেট বাজার এলাকার একটি গোডাউনেও বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটে। এখানে সিগারেটের প্যাকেট মজুত থাকত। নগদ অর্থ-সহ প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা মূল্যের সিগারেট প্যাকেট খোওয়া গিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন রামনরেশ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী। পর পর এই তিনটি চুরির ঘটনায় রেলশহরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
Previous Story Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.