|
|
|
|
জরিমানার টাকা ফেরত তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা রোড |
বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকেই নতুন শাসকদল তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা রকম জুলুমের অভিযোগ এসেছে অনবরত। তার মধ্যে অন্যতম, জরিমানা আদায়ের অভিযোগ। বিরোধী সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের গ্রামে থাকতে হলে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছিল বলে অভিযোগ। যদিও এত দিন তৃণমূল নেতৃত্ব সে-সব অভিযোগ ক্রমাগত অস্বীকার করেই এসেছেন। সম্প্রতি দলনেত্রী মমতা বনদ্যোপাধ্যায় কলকাতায় দলের এক সাংগঠনিক বৈঠকে ‘সংযত’ হওয়ার কড়া বার্তা দেন কর্মীদের। বিভিন্ন জেলার নেতাদেরও কড়া নজরদারি চালিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযুক্ত দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। শনিবারই চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরের দুই দলীয় নেতাকে এক মাসের জন্য দলের কাজকর্ম থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়। এ বার চন্দ্রকোনা রোডে তৃণমূল নেতৃত্ব উদ্যোগী হয়ে সিপিএম নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া জরিমানার টাকা ফেরত দিলেন। সোমবারের এই ঘটনায় জরিমানা আদায় নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
চন্দ্রকোনা রোডে দলের কর্মীরা কয়েক জন সিপিএম নেতা-কর্মীর কাছ থেকে গত এক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ‘জরিমানা’ আদায় করেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছেছিল। নেতারাই উদ্যোগী হয়ে জরিমানার টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেন সোমবার। দলীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের দ্বারিগেড়িয়া, নবকলা প্রভৃতি গ্রাম থেকে সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান লক্ষ্মণ প্রামাণিক, বিদ্যুৎ রায় ও সিপিএমের দলীয় সদস্য অশ্বিনী দত্তদের কাছ থেকে গ্রামেরই কিছু তৃণমূল কর্মী প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। সোমবার ওই তিন সিপিএম নেতাকে ডেকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এ দিনও ওই টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করা হয়েছিল বলে মানতে চাননি। ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আকাশদীপ সিংহ বলেন, “১৯৯৮ সালে সিপিএমের এই সব নেতারা আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে লুঠপাঠ, মুরগি খামারে আগুন লাগানো-সহ নানা রকম দুষ্কর্ম করেছিলেন। সেই ক্ষতির পরিমাণ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। ক্ষমতায় আসার পরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু টাকা আদায় করেছিলেন। কিন্তু আমরা তা-ও হতে দিতে পারি না। তাই টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” স্মরণসভা। প্রয়াত সাংসদ নারায়ণ চৌবে’র চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা আয়োজিত হল খড়্গপুরের গোলবাজার দুর্গামন্দিরে। রবিবার মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ নারায়ণবাবুর স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল মানস গৌতম নারায়ণ চৌবে মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। নারায়ণ চৌবে স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় শচীনন্দন সামন্তর হাতে। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক অচিন চক্রবর্তী। সব শেষে, শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিবেদিতা সেন। |
|
|
|
|
|