|
|
|
|
সবুজায়নের উদ্যোগ |
উপহারের গাছগুলিকে সযত্নে বড় করে তুলব, বলল পড়ুয়ারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
স্কুলে সাফল্য পেলেই মিলবে তরতাজা চারাগাছ। আর তার ঠিকঠাক পরিচর্যার জন্য রয়েছে পুরস্কার। শুধু তাই নয়, নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবাগতদের জন্য উপহার হিসেবেও থাকবে সতেজ চারা। ছাত্রছাত্রীদের হাত ধরে এ ভাবেই সবুজায়নে উদ্যোগী হল মন্তেশ্বরের দেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
১৯৯৯-এ স্কুলটি তৈরি হয়। চারিদিক গাছপালায় ঘেরা। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৭০। সম্প্রতি আশেপাশের এলাকায় সবুজায়নের জন্য উদ্যোগী হন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। সম্প্রতি স্কুলে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথকে একটি আলোচনাসভা হয়। ১৭০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় মেহগানি চারা। আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ বিলি করে ‘গাছমাস্টার’ হিসেবে পরিচিত নাদনঘাট রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরূপ চৌধুরী। অরূপবাবু স্কুল কতৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, চারাগাছগুলি তিনি নিজেই সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। |
|
কৃতি ছাত্রছাত্রীদের চারাগাছ উপহার দিচ্ছেন গাছমাস্টার অরূপ চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র। |
স্কুলের কৃতী ও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের হাতে অরূপবাবু চারাগাছগুলি তুলে দেন। স্কুলের তরফে জানানো হয়, যে সব ছাত্রছাত্রী ওই গাছগুলিকে বড় করে তুলতে পারবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। গাছের সঠিক পরিচর্যার উপরে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এক নম্বর করে দেওয়া হবে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরস্কার ও উপহার স্মারক হিসেবে রেখে দেওয়ার প্রবণতা থাকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। তাই এই সব চারাগাছগুলি তারা অবহেলায় নষ্ট হতে দেবে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অখিলেন্দু সাহা বলেন, “এতে একই সঙ্গে দু’টো কাজই হবে। ছাত্রছাত্রীরা পুরস্কার পাওয়া গাছটিকে যত্ন করে রাখবে। আর গাছটি ভালভাবে বেড়ে উঠলে সবুজায়নের উদ্যোগও সফল হবে।” তাঁর কথায়, “শেলে, কুলে, গণগণিয়া, রায়গ্রাম, লসকরপুর, ঢেউরচাঁদা, কানপুর, কাটসিহি-সহ ২৮টি গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে পড়তে আসে। আমাদের লক্ষ্য, ছাত্রছাত্রীদের হাত ধরে ওই সমস্ত এলাকায় চারাগাছ পাঠানো। আর ‘গাছমাস্টার’ অরূপবাবুর কথায়, “সবুজায়নের প্রসার ঘটাতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আগ্রহ চোখে পড়ার মত। এই ভাবে এগিয়ে গেলে কয়েক বছরের মধ্যেই লাগোয়া গ্রামগুলিতে সবুজের সমারোহ দেখা যাবে।”
আর গাছ পেয়ে উত্তেজিত অষ্টম শ্রেণির শুভময় চট্টোপাধ্যায়, আকাশ চট্টোপাধ্যায়রা। তাদের কথায়, “উপহার পাওয়া গাছগুলি সযত্নে বড় করব। গাছের গোড়া মোটা হলেই তাতে পুরস্কারের সাল আর তারিখও লিখে রাখব।” |
|
|
|
|
|