|
|
|
|
বাড়িতে তালা, খাঁচায় বন্দি ক্ষুধার্ত পাখি |
হিলটন ঘোষ • উলুবেড়িয়া |
খাঁ খাঁ বাড়িতে শুধুই ডানা ঝাপটানো।
জল নেই, শূন্য পাত্রে ঠোকর দিয়ে মিথ্যে হা পিত্যেশ। অনর্গল বৃষ্টিতে দানাপানিহীন সেই খাঁচায় কয়েক জোড়া কাকাতুয়া, লাভ বার্ড, বদরিকা, মুনিয়ার অসহায় ওড়াউড়ি।
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার কাছে কুলগাছিয়া। বড় রাস্তার উপরেই গোবিন্দ ঘুঘুর পেল্লাই বাড়ি। বাড়ির ছাদে খান তিনেক খাঁচায় তাঁর ছেলের প্রিয় পক্ষীকুল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাখি কেনাবেচার বড় কারবারি তিনি। কিন্তু বড় রাস্তার উপরে সে বাড়ির দরজায় দিন পাঁচেক আগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কেন? |
|
নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২ অগস্ট স্থানীয় ওই বাসিন্দার পুত্রবধূ অভিযোগ করেন, দিনের পর দিন ধরে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে ‘নির্যাতন’ করছেন তাঁর উপরে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এসে শুধু গোবিন্দবাবুই নয়, তাঁর স্ত্রী-পুত্রকেও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। দিন তিনেক পরে জামিনে ছাড়া পান তাঁরা। তবে আর ও বাড়িতে ফেরেননি। ফলে তিনতলা বাড়িটা এক ঝাঁক খাঁচা-বন্দি পাখি নিয়ে শুধু ভিজেই চলেছে। পড়শিরা জানান, খাবার না পেয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পাখি মারা গেছে বলেই ধারণা। পুলিশের হাপ্যার ভয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে খাঁচার দিকে তাকানো ছাড়া বিশেষ কিছুই করতে সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে তারই মধ্যে কয়েক জন গিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলেন স্থানীয় বন দফতরে। খবর পেয়েই স্থানীয় রেঞ্জ অফিসার গিয়েছিলেন থানায়। কিন্তু পুলিশ তেমন সাড়া দেয়নি। উলুবেড়িয়া থানা থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, লিখিত ভাবে জানাতে হবে বিষয়টি। তারপরে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশ ছাড়া ও বাড়ির তালা খোলা যাবে না।
বিষয়টি জেনে সোমবার উলুড়িয়ার এসডিপিও তন্ময় সরকার অবশ্য বলেন, “এ তো সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার। এখনই থানাকে এ ব্যাপারে বন দফতরের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলছি।” |
|
|
|
|
|