রবিবার হুগলি জেলা জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। ভোর থেকেই টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষজন পথে নামেন। বৃক্ষরোপণ, কোথাও পথ পরিক্রমা, কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় কবিপ্রণাম। শুধু ক্লাব সংগঠন বা প্রশাসনিক ভবনই নয়, এ বার বাইশে শ্রাবণ পালিত হল থানাতেও। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সামিল হন পুলিশকর্মীরা।
|
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরি বের হয় বৈদ্যবাটি পুরসভার উদ্যোগে। বিশাল ওই শোভাযাত্রা বৈদ্যবাটি রেলগেট থেকে শুরু হয়। শেষ হয় পুরসভার সামনে এসে। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পাশাপাশি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এলাকার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। শ্রীরামপুর পুরসভার তরফেও দিনটিকে পালন করা হয়। ওই উপলক্ষে সকালে অনুষ্ঠান হয় পুরসভার টাউন হলে। বৈদ্যবাটি উৎসব ও মেলা কমিটি গত এক বছর ধরে কবির সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসেছে। এ দিনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এ দিন বৈদ্যবাটির একটি ভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ওই কমিটির তরফে। রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতরের সহায়তায় চণ্ডীতলা-১ পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস উদ্যাপিত হয়। |
আরামবাগ মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রবীন্দ্র ভবন থেকে মহকুমাশাসকের দফতর পর্যন্ত পদযাত্রার মাধ্যমে। শহরের বিশিষ্ট মানুষ এবং ছাত্রছাত্রীরা তাতে সামিল হন। পরে মহকুমা প্রশাসন দফতরের সভাকক্ষে কবিকে নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ‘বর্জ্য জল শোধন, ব্যবহারীকরণ ও সবুজায়ন’ সঙ্ঘের পক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের বাগানে। থানাগুলিতেও কবির প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। সারাদিন ধরে বাজানো হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত। অন্য দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় কবিপ্রণাম উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় শিয়াখালা অঞ্চল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে। শিয়াখালা বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ হলে ওই অনুষ্ঠান হয়। পরিবেশিত হয় গান, নাচ, আবৃত্তি। |