|
|
|
|
সংঘর্ষের নামে হত্যায় মৃত্যুদণ্ড, মত সুপ্রিম কোর্টের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
‘এনকাউন্টার’-এর নামে পরিকল্পিত ভাবে ভুয়ো সংঘর্ষ সাজিয়ে হত্যা করার ঘটনা আসলে ঠান্ডা মাথায় খুন ছাড়া আর কিছুই না। আজ এই মন্তব্য করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু এবং সি কে প্রসাদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার ঘটনাকে বিরলতম অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের ফাঁসিকাঠে ঝোলানো উচিত। বিচারকদের মতে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার বদলে স্রেফ ‘সুপারি কিলারের’ মতো পুলিশের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
২০০৬-এর অক্টোবরে এক ভুয়ো সংঘর্ষে দারা সিংহকে খুন করেন রাজস্থানের দুই আইপিএস অফিসার। গত বছর এপ্রিলে দারার স্ত্রী সুশীলা দেবী আদালতের কাছে আর্জি জানান, তাঁর স্বামীকে সাজানো সংঘর্ষে খুন করে ‘এনকাউন্টার’ নামে চালানো হচ্ছে। আদালতের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। আজ সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন বিচারপতিরা। ওই দুই অফিসারকে ধরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। অপরাধীরা নিজেরা ধরা না দিলে সিবিআইয়ের উচিত তাদের গ্রেফতার করা, এ কথাও জানান বিচারপতিরা। দারা সিংহ হত্যায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র রাঠৌর এখনও ফেরার।
গত বছর মে মাসে একই ভাবে খুন করা হয় মহারাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ীকে। আদালতের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিরলতম অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন বিচারপতিরা। তাঁদের কথায়, “মাথার উপর যত বড় সরকারি আধিকারিক বা রাজনৈতিক দাদারা থাকুন না কেন, এনকাউন্টারের নামে ‘খুন’ করলে পুলিশের কোনও কর্তা-ব্যক্তিকেই ছাড়া হবে না।” এ প্রসঙ্গে ন্যুরেমবার্গ মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিচারপতিরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মিত্র বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর নাৎসি অফিসারেরা দাবি করেছিলেন, তাঁরা অপরাধী নন, কারণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তাঁরা ইহুদি হত্যা করেছিলেন। তা গ্রাহ্য হয়নি। ফাঁসিই হয়েছিল। |
|
|
|
|
|