|
|
|
|
রাজাকে সরানোর ‘ভুল’ আর নয়, শীলার পাশেই কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি প্রশ্নে বিরোধীদের দাবি মেনে আগামিকাল সংসদে আলোচনায় সরকার রাজি হল বটে। কিন্তু ওই পর্যন্তই।
এ ব্যাপারে টু জি স্পেকট্রাম পর্বের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। টু জি বণ্টন নিয়ে সিএজি রিপোর্ট সংসদে পেশ হওয়ার আগেই যে ভাবে টেলিকম মন্ত্রক থেকে এ রাজাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই ‘ভুল’ আর করতে চান না তাঁরা। বরং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পাশে দাঁড়িয়ে এনডিএ জমানায় কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনে গৃহীত সব সিদ্ধান্ত নিয়ে পাল্টা আক্রমণাত্মক হতে চাইছে কংগ্রেস। বিজেপি শীর্ষ সূত্রে কিন্তু বলা হচ্ছে, কাল সংসদে বিতর্কের সুযোগ নিয়ে সুরেশ কলমডী থেকে শীলা দীক্ষিত সব প্রসঙ্গই তুলবেন তাঁরা। আক্রমণের নিশানা করবেন প্রধানমন্ত্রীকেও। কৌশলে সমালোচনা হতে পারে সনিয়া গাঁধীরও।
এই অবস্থায় কংগ্রেস আজ আক্রমণ করেছে সিএজি-কেও। কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি আজ বলেন, “সিএজি কমনওয়েলথ গেমসের আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এনডিএ আমলের বহু কিছু দেখেও দেখেনি। ফলে সিএজির উদ্দেশ্য নিয়েই সংশয় তৈরি হচ্ছে।”
এর আগে কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে সিএজি রিপোর্টকে অস্ত্র করে আজ সকাল থেকে সংসদের উভয় কক্ষে সরব হন বিজেপি সাংসদরা। সভার ওয়েলে নেমে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। যার জেরে মুলতুবি করতে হয় লোকসভা ও রাজ্যসভা। পরে সরকার ও বিরোধী জোটের নেতৃত্বের বৈঠকে ঠিক হয়, সুরেশ কলমডীকে গেমস আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগের বিষয়ে সম্প্রতি ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন যে মন্তব্য করেছেন, তার ভিত্তিতে কাল সংসদের দুই সভায় আলোচনা হবে। বস্তুত সিএজি রিপোর্ট সংসদে পেশ হওয়ার আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তখন সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়, কলমডীকে নিয়োগের জন্য সিএজি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে দায়ী করেছে। সেই অভিযোগ খণ্ডন করে মাকেন বলেন, কলমডী নিয়োগের ব্যাপারে এনডিএ-ই দায়ী ছিল। আজই মাকেনের বিবৃতির বিরুদ্ধে বিজেপির যশবন্ত সিন্হা স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন স্পিকারকে। এই নিয়ে আজ ক্ষোভ জানিয়েছে বিজেপি। আগামিকাল ‘ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার’ উদ্যোগে রামলীলা ময়দান থেকে পদযাত্রা করে সংসদ ভবন ঘেরাওয়ে অংশ নেবেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী, বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ এবং বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি।
সংসদে আলোচনায় রাজি হলেও কপিল সিব্বলের দাবি, সিএজি রিপোর্টে কোনও ভাবেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রশ্ন ওঠে, স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে সিএজি রিপোর্ট প্রকাশ হতে না হতেই কেন এ রাজাকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী? কপিল বলেন, “একই ভুল ভুল বারবার করতে হবে, এমন কোথাও বলা নেই।” সরকার তথা কংগ্রেসের সঙ্কট বুঝে বিজেপি-ও এখন মাপা পদক্ষেপে এগোচ্ছে। শীলা দীক্ষিতের অপসারণের দাবি তুললেও তাঁদের আক্রমণের মূল নিশানা প্রধানমন্ত্রীই। শীলার অপসারণের দাবিতে লাগাতার সংসদ অচল করে রাখার পক্ষপাতীও নন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই কমনওয়েলথ দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব মেনে নেন তাঁরা। এই সুযোগেই প্রধানমন্ত্রী থেকে শীলা দীক্ষিত সবারই অপসারণের দাবি তোলা হবে।
কাল সংসদে বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ তুলবেন, কলমডীকে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীই। যশবন্ত বলেন, মাকেন সংসদে জানান কলমডীর নিয়োগ হয় এনডিএ আমলে। কিন্তু সিএজি রিপোর্ট বলছে, ২০০৪ সালে ইউপিএ আসার পর কলমডীর নিয়োগ হয়েছে।” |
|
|
|
|
|